খুকির মা নেই, নেই নানা বাড়ি
ভেবেছিলাম মেয়ের নানা বাড়ি গিয়ে
জমিয়ে খাবো শীতের পিঠাপুলি।
তকদিরে পড়লো বজ্রাঘাতের ঝুলি
মেয়ের মা-ও চলে গেলো বাপের বাড়ি
বাপ-বেটির তকদির, ঘুরালো না কোন তকবির।
পুড়া কপাল পুড়লো আরো
মেয়ের মা নেই বছর বারো
বাহ্যিক সুখ দ্যাখে সবাই
কার কি আসে যায়, যদি অন্তরাত্মা পুড়ে হয় ছাঁই।
একযুগ হলো গত, শির নাহি হলো নত
মোদের অহংকার বোধের অহমিকায়
মেয়ের জীবন ঘষা খায় শিল-পাটায়।
স্কুল কলেজ বন্ধে
ছেলে-মেয়েরা নানা-বাড়ি যায় আনন্দে
শীতের পিঠাপুলি খেয়ে
মামার কাঁধে ওঠে পিঠ বেয়ে।
খুকির মা নেই ঘরে
মায়ের শূন্যতা কি আর বাবার স্নেহে ভরে
বাবা থাকে দূর প্রবাসে
খুকির কষ্ট লাঘবের আশে।
মেয়ের জীবন শিল-পাটার মধ্যখানে রেখে
স্বপ্ন দ্যাখে ছিলে তুমি আকাশ ছুঁবে
আকাশ ছুয়ে নামিয়ে নিলে চাঁদ
সেই থেকে নেমে এলো খুকির জীবনে ঘোর অন্ধকারময় রাত।
নানা-নানি, মামা-মামী ক্যামন হয় জানেনা খুকি
সব পেয়েও কিছু না পাওয়ায় চির দুখী
সুখের নেশায় ছেড়েছিলে মোদের প্রিয় খুকি
জানিয়ে দিও হতে পেরেছো কি চিরসুখী।