আমার মুখের আড়ালে কোন মুখোশ নেই
✑ মিটু সর্দার


বাবা দিয়েছেন ঝাড়ি সঙ্গে নিয়েছেন মা'কে
কথা বলবে না আর আমার সাথে
আমি যদি অটুট থাকি আমার সিদ্ধান্তে।
আমি হলাম একগুঁয়ে এক রুখা আমার জেদ
পরিবারের সব সদস্যের দৃঢ়তা অন্তর হবে চিরতা
ঠেঁটামির লাগাম টেনে রুদ্ধ করবোনা জেদীপনা।
নিজের জীবন নিজে নিবো হার মানবো না কভু
পুলিশ টুলিশ যা-ই আনো কথা বলবো না তবুও
বীরের মতো মরবো আমি মাথা রাখবো উঁচু।
হৃদয়হীন বক্ষ, নেই না কারোর পক্ষ, চলে নিজ সৃজিত পথে
ভুবনেশ্বরের সকল মানুষ যায় যদি মোরে ছাড়ি
দাঁড়াবো না সম্মুখে হাতে লয়ে বনিবনাত্তার হাঁড়ি।
যখন দিয়েছিল পিতামাতা আড়ি, কষ্টে এ বুক হয়েছিল ভারী
চোখের কোণে মেঘ জমে বৃষ্টি ঝরেছিল মুশলধারে
সেই বৃষ্টির জলে ভিজেছিলাম আমি একাধারে।
আমার অবাধ্যতা যদি আমায় নিঃস্ব করে দেয়
ছেড়ে দেয় একা পথে, হাঁটবো আমি অরণ্যের খোঁজে
ধুমকেতুর মতো যদি এক-এক করে হারিয়ে যায় সব লোক তারপরও আমি হাঁটবো আমার গন্তব্যে।
মনে হচ্ছে সবার মাথায় আমি ঢিল ছুঁড়েছি
সেই ব্যাথায় অস্থির সবাই, আড়ি দেয়, দাগকাটে
মাঝেমাঝে টেনে ধরতে চায় আমার লাগাম
কিন্তু কেউ খোজেনি কেন এই লাগামহীন ভাবে ছুটা।
বেশ্যার বেলেল্লাপনা দ্যাখে সবাই ছিঃছি করে
তার ঘরে বসে তার হাতে জল পান করাকে মনে করে ইজ্জত হানি
কেউ খতিয়ে দ্যাখেনি কেন সে এই ঘৃণ্য পথে এলো
রাতের অন্ধকারে যারা যায় দিনের আলোয় তারা-ই বেশ্যাদের কুৎসা রটায়।
আমি অভদ্র অভদ্র’ই, একগুঁয়ে একগুঁয়ে'ই
আমার মুখের আড়ালে কোন মুখোশ নেই
এই সমাজের ভদ্র মানুষ গুলোর ভদ্রতার মুখোশের আড়ালে অন্য মুখ
এটা আমার মতো অভদ্র আর একগুঁয়ে যারা তারা-ই অবলোকন করতে পারেন।
আমি স্পষ্টভাষী যা ভালো লাগেনা বুক ফুলিয়ে বলি
আমতা-আমতা করে বলার কৌশল আমি শিখিনি
সাপের মতো খোলস বদল করে রামধনুর মতো নিজেকে মেলে ধরতে পারিনি
তাই আমি একগুঁয়ে, রগচটা, অভদ্র, জেদি।