আর দিও না ফাল (লাফ)
এই কাঁচামরিচ হবে তোমাদের কাল।
আমরা যখন বলি আমাদের অধিকারের কথা
গায়ে জরিয়ে দাও মোদের উন্নয়নের কাঁথা।
সে-তো দ্যাখছি উন্নয়ন, দূর্ণীতি আর স্বজনপ্রীতি
এ যেনো বাংলার এখন চিরাচরিত রীতি।
আদালতের বারান্দায় বসে কান্দে ন্যায় বিচার
অন্ধকার মেরুদণ্ডহীন জাতির ফিউচার।
তোমাদের মিথ্যে আশ্বাস,খেটে খাওয়া মানুষের নাভিশ্বাস
খাচ্ছি মোরা প্রতিনিয়ত উন্নয়নের বাঁশ।
কাঁচামরিচ কেজি বারোশ, গোমাংস এক হাজার
দিন-তো যাচ্ছে তোমাদের হালে রাজার!
প্রতিবাদ করলেই প্রস্তুতি নাও সাজা-র
গগনচুম্বী দ্রব্যমূল্যের বাজার।
দশ বছর আগেও নুন আনতে পান্তা ফুরাতো যাদের
রাজনীতিতে নাম লিখিয়ে দ্যাখা পেয়েছে চাঁদের।
শহরের বুক চিঁড়ে দাঁড় করিয়েছে গগনচুম্বী ভবন
সত্য পিপাসু গরীবেরা আজও করে রোদন।
আমরা যখন আমাদের মৌলিক অধিকারের কথা বলি
সরকার ক্ষেপে গিয়ে চালায় আমাদের উপর গুলি!
পেটে পাথর চেপে হজম করেছি উন্নয়নের বুলি
আর না!খুলেছে চোখ, দিতে পারবে না আর ধূলি
পরোয়া করিনা যদিও উড়িয়ে দাও মাথার খুলি।
দ্যাখেছি কেবল মোরা এক পাপি-য়া --
হাজার হাজার বসে আছে নেতার ঘাড় চাপি-য়া!
চক্ষুড়ালে করছে রাজ, সর্বস্তর দাপি-য়া --
সরকার যাচ্ছে সব কর্মকাণ্ড নীরবে ছাপি-য়া।
গরীব মরুকগে ভাতে, কি আসে যায় তাতে --
ওঁরা-তো ঠিকই দ্যাখে রক্তিম সূর্য প্রাতে
ছত্রছায়ায় জমজমাট হয় নিষিদ্ধ পল্লী গুলো রাতে।
খোঁজে দ্যাখো অলিগলি-রাজপথ,প্রসস্থ মাঠ কিংবা কোনা
সোনার দেশে আর নেইকো সোনা --
চুর-বাটপার আর ধান্ধাবাজে বুনা,তারা-ই এখন সোনা।
লঙ্কা এখন গলার কাঁটা --
মিলবে না আর পান্তাভাতে লঙ্কাবাটা --
গরীবের কপালে ঝাঁটা,আন্দোলন কর,সরকার হটা
লঙ্কার মতো সরকারও খেটে খাওয়া মানুষের গলার কাঁটা।
আমরা গরীব মানুষ
পেটভরে দুমুঠো ভাত খেতে পারলেই হলো
এ-তো উন্নয়ন দিয়ে আমরা করমু কি!
সময় এসেছে আমাদের ঘুরে দাঁড়ানোর
আন্দোলনে রাজপথ সুনসান,স্থবির করে দেওয়ার
অধিকার ছিনিয়ে নেওয়ার।