আমি যখন প্রতিবাদের লেখনী লিখতাম
এই গ্রাম,সমাজ এবং চারপাশের --
অন্যায়,অবিচার এবং ব্যভিচারের বিরুদ্ধে
তখন আমি অনেকেরই চক্ষুশূল ছিলাম।
ফাঁদ পেতে সুযোগ খুঁজতো ফেলতে ফাঁদে
তাঁদের অপকর্মের দায় যেনো বর্তাতে পারে মোর কাঁধে।
এখন তারা মহাখুশি, গা ভাসিয়ে চলে স্রোতে
লিখিনা আর তাদের বিরুদ্ধে, যদিও কিলায় ভুতে।
যেমন ইচ্ছে, যেমন খুশি, দুচোখ ভরা রুচি
ইচ্ছে মতো খাচ্ছে ওঁরা অপরাধ, অপকর্মের লুচী।
বাবাকে পথিমধ্যে দাঁড় করিয়ে কেউ এখন আর বলে না
মহাশয় ; আপনার গুণধর পুত্র আমার অপকর্মের সায়েরী লিখেছে।
গ্রাম,সমাজ, চারপাশ যাচ্ছে মায়ের ভোগে --
আঁকড়ে ধরেছে মেরুদণ্ড ক্যান্সার রোগে।
ভালো হওয়ার মন্ত্র শুনাবে যে শাস্ত্রী
সে-ও আজ মহামারীর রোগী।
বহুকাল ধরে দ্যাখিনা নতুন ভোর --
ঘুরিয়ে দিয়েছি কলমের মোড় --
যতো পারিস শঙ্খচিলের মতো উড়
হাতি একদিন প্রসারিত করবে তার শুঁড়।
এখন আর কলম ধরিনা, লিখিনা --
অন্যায়,অবিচার এবং ব্যভিচারের বিরুদ্ধে --
দ্যাখছে তারা নিজেকে এখন কাল-মহাকালের উর্ধ্বে।
সায়েরীতে যখন থাকে পশুপাখি,ফুলফল, নদীনালা
তাদের চেহারা হয়না আর কালা --
উগ্রমেজাজে দিতে আসেনা মোর বসতি ঘরে তালা।
এখন কবিতায় থাকে প্রেম,বিরহ,প্রেয়সী
গরীবের খুপরি আলোকিত করা শ্রেয়সী
পোকামাকড়, বিড়াল, কুকুর, কাক, শকুন
দ্রোহের কবিতা আর লিখিনা নতুন।
খুশি বাপ-মা, ভাই-বোন, বউ --
অপরাধীর হৃদয় মৌচাকে উড়ে আনন্দের মৌ
খিড়কীর সম্মুখে এসে আর করেনা ঘেউঘেউ।
হৃদয় সমুদ্রে আছড়ে পড়েছে ঝড়
কবিতার বিদ্রোহী শব্দগুলো চলে হুইলচেয়ারে দিয়ে ভর
যেনো কানের কাছে ফিসফিস করে আমায় বলে --
হতে পারবি-নে, হতে পারবি-নে মৃত্যুর পর অমর।


সৌদি আরব ১০/০৩/২০২৩ইং