আয়ু বুঝি এলো ফুরিয়ে
নিতে পারিনি কিচ্ছু কুড়িয়ে
কিভাবে হবো দন্ডায়মান
সেই ভাবনায় কাঁদে মোর প্রাণ।


ধারদেনা করেছিলাম বহু
শুধিতে পারিনি ঋণ
এভাবে চলে গেলে
কে শুধিবে আমার ঋণ।


কণ্ঠনালিতে ব্যাথা
গিলতে পারিনি ঢোক
আমায় বুঝি নিয়ে যাবে যমের বাড়ি
কণ্ঠনালিতে আঁকড়ে ধরা অসুখ।


অভিমান ভরা বুকে কোন অভিযোগ নেই
ভালোবেসে সৃজন করে ছিলে তুমি
তোমার সৃজিত দেহে তোমার অধিকতর অধিকার
তাই দাও যতোটা পার-দাও আরো।


বাপের হোটেল ছেড়ে, মাতৃভূমির মায়া ঝেড়ে
মরুর দেশে এসেছিলাম খুলতে নিজের হোটেল
কামে গেলে মিলে খানা, না গেলে মিলে না'ক দানা
দেশের মানুষ চেয়ে থাকে হাতে, মাস শেষে কিচ্ছু পাঠালে খাবে দুধেভাতে।


জ্বরের তীব্রতায় কাঁপুনি এলে গায়ে
বাপের হোটেলে থাকলে শিয়রে বসে থাকতো মায়ে
চোখের জল বালতিতে মিশিয়ে প্রিয়তমা ঢেলে দিতো পানি
পথ দেখতে পায়না তারপরও বাবা দৌড়ে গিয়ে ডাক্তার আনতো, ভুলে যেতো তার চোখে ছিলো ছানি।


তীব্র যন্ত্রণা যদি ছিঁড়ে যায় কণ্ঠনালি
হুংকার বন্ধ হবেনা, ছিঁড়া কণ্ঠে বজ্রীত হবে ধ্বনি
রক্তের ফুটা উল্কাপিণ্ডের মতো উড়ে
মৃত্যুর তিলক লাগিয়ে দেবে পৃথিবী নাশকারীর কপোলে।


সাঁকোর নীচে হাঁটু জল, শক্ত হচ্ছে না মনোবল
মধ্য সাঁকোতে দাড়িয়ে চৈতন্যতা মোর যায় হারিয়ে
সুতোর মতো পুলসিরাত, কিভাবে দেবো পাড়ি
পা ফস্কে ভূপাতিত হলে, লাকড়ি হবো জাহান্নামের।