করছো তুমি কিসের বড়াই
লড়ছো তুমি ভাই হয়ে ভাইয়ের বিরুদ্ধে লড়াই
মাটির দেহ, ফুটন্ত পানি, উত্তপ্ত কড়াই!
বাঁচাতে পারবে কি সেইদিন দাম্ভিকতার এই দেহ।
বিধাতার বিধান তুচ্ছতাচ্ছিল্য,নিজের বিধান পাচ্ছে প্রাধান্য
গ্রাস করছো এতিমের হক, প্রাচুর্যে করছে চকচক
নীরবে আঁকছো মানুষ নিধনের ছক --
সাদা কাপড়,মৃত্যুর ভয় হৃদয়ে নাড়ছে না নক।
ভাবছো না এইসব মিছে,এগিয়ে যাচ্ছো মানবতা পিষে
সুখের সন্ধানী সুখ খুজ্জচ্ছো কিসে?
তোমাদের কর্মকাণ্ডে গা ভরে যায় বিষে
এই সুনসান,পরিপাটি দেহখানা একদিন যাবে মিশে।
হৃদয় রেখে অন্ধকার, আলোকসজ্জা করো ঘর
ক্যামনে পার হবে পুলসিরাত, কিসে দিয়ে ভর?
নুড়ি পাথর জমিয়েছো,পদদলিত করে খড়
প্রাচুর্য গড়তে গিয়ে আপন মানুষ করেছো পর।
করছো তুমি কিসের বড়াই
চেয়ে দ্যাখো কতো মানুষ করছে পার চড়াই-উৎরাই!
দুমুঠো ভাতের জন্য বুক পেতে নিচ্ছে গুলি
পেতে দিচ্ছে শির, উড়ে যাচ্ছে খুলি
দুচোখে মেখে ধুলি, এখনো খেলছো তুমি রঙের হোলি
জাতের বিচার করছো তুমি, দ্যাখে পোশাক-আশাক,বুলি
ওঁরা-ও মানুষ,
যাদের দ্যাখছো কামার-কুমার,জেলে-তাঁতি, কৃষক মজুর-কুলি।
দারিদ্র্যতার কষাঘাতে ঝরছে যাদের জল
কিছু হতে কিছু দিয়ে বাড়িয়ে তোল মনোবল
ধরাধামে হবে সিক্ত, পরকালে সফল --
হতে দিও না রক্ত ঝরানো ঘাম বিফল।