বউ আমার দারুচিনি ফুলের মউমউ গন্ধে
উঠোনে দাড়িয়ে চুলে খোঁপা বান্দে আনন্দে।
বসন্তের কোকিল যখন সোনালু গাছে গায় গান
হঠাৎ আঁতকে উঠে আমার রূপবতী বউয়ের প্রাণ।
খোঁপা ছেড়ে ঘরে ডুকে বালিশ চেপে বুকে
বউ আমার কান্না করে আঁখি ভেজায় শোকে।
কোন এক বসন্তে খোঁপায় গুঁজে ছিলে সোনালু ফুল
তুমি নেই পাশে তোমার গুঁজে দেওয়া ফুল চোখে ভাসে।
সবাইকে সুখী করতে পড়ে আছো প্রবাসে
আমি অভাগিনী কান্দি তোমার বিহনে।
বেনারসি শাড়ি পরিয়ে এনেছিলে ঘরে
কয়েকদিন ভালোবাসা দিয়ে হারিয়ে গেলে ভীড়ে।
শাড়ীর আঁচলে চোখের জল মুছে
বিড়বিড় করে বলে কবে যে এ বিরহ ঘুচে।
সোনা বউয়ের সোনা মাখা মুখ
তার বুকে খোঁজে পেয়েছিলাম পৃথিবীর সুখ।
কি করে ফিরবো বাড়ি, দারিদ্রতা যে দেয়না আড়ি
পাওনাদারেরা ভাঙ্গবে হাঁড়ি, বাড়ির পথে দিলে পাড়ি।
শীতের শেষে আসে বসন্ত, ফুল ফোটে গাছে-গাছে
বাতাবী লেবুর ঘ্রাণ দোচালা ঘরে আসে বাতাসে ভেসে।
আমারও তো ভাল্লাগে না, রাত একদম কাটে না
সব পাখির মতো আমিও তো ঘরে ফিরতে চাই।
তোমাকে সঙ্গে নিয়ে অনুর্বর জমি উর্বর করে
স্বপ্নের দানা বপন করে পরিচর্যা করতে চাই।
গরিবানা যে আমাদের সংসারে স্থায়ী হয়ে
পরম আত্মীয় হয়ে গিয়েছে, তাড়িয়ে দিলেও ফিরে আসে।
তোমার চোখের জল ঘুচিয়ে মুখে হাসি ফুটাতে যদি চলে আসি
তাহলে তো চুলায় বিড়াল ঘুমাবে, ভালোবাসায় কি আর উদর পুর্তি হবে।