পড়ন্ত বিকেল, কোলাহলপূর্ণ শহর
চারদিকে অটোরিকশার হর্ণ, ব্যস্ত শহর
পৌর মার্কেটের সামনে থেকে দুজনে পাশাপাশি বসেছিলাম অটোরিকশায়
শহরের বুক চিরে তৈরি ফ্লাইওভারের উপর দিয়ে
যখন যাচ্ছিলাম তুমি জড়িয়ে ধরেছিলে
কাঁধে ঠেকিয়ে ছিলে শির।
আহা! কি সুখ তোমার স্পর্শে
আহা! কি সুখ, আনন্দে আত্মহারা হয়েছিল মোর বুক।
চল্লিশ টাকায় দুটি টিকেট কিনে
প্রবেশ করে ছিলাম নিয়াজ মুহাম্মদ স্টেডিয়ামে
বুকে রেখে বল
হাতে হাত রেখে ঘুরিয়ে ঘুরিয়ে দেখিয়েছিলে বানিজ্যিক মেলার প্রতিটি স্টল।
গোধুলি লগ্ন,খানিকটা পরে অস্তমিত যাবে সারাদিনের ক্লান্ত রবি
ফোসকার দোকানে গায়ের সাথে গা লাগিয়ে বসে
এক প্লেট ফোসকা খেয়ে নিলাম তোমার বদনখানি দ্যাখে।
যখন তোমার সঙ্গ ছেড়ে সিএনজিতে উঠে ছিলাম
পলকহীন দৃষ্টিতে তাকিয়ে ছিলে
শিশিরের ফুটার মতো কয়েক ফুটা জল ভিজিয়ে ছিলো তোমার বেদানার মতো গাল।


তারিখঃ ১০/০১/২০২২
বড়মুড়া, কসবা, ব্রাহ্মণবাড়িয়া।