আইনি পোষাক গায়ে, আইন পিষে পায়ে
ক্ষান্ত হয়নি মেরে থাপ্পড়, ছিঁড়ে দিয়েছে কাপড়।
কালো পোষাকের মতোই কালো মন --
বিদ্বানের নেশায় রপ্ত করেনি বিদ্যা নামক ধন।
ক্যামন মা তোরে ধরেছে পেটে দ্যাখতে হচ্ছে সাধ
ক্যামন বাবা জুগিয়েছে তোর জামাকাপড় ভাত।
রিকশাচালক, দুর্গন্ধ গায়ে, নীচু জাত --
ওঁদের মারলে ভয়ে এগিয়ে এসে করবেনা প্রতিবাদ।
সেইদিন হজম না করে লাত্থি মেরে যদি ভেঙে দিতো তোর দাঁত
ফাটিয়ে নিতম্ব, অহংকার-দম্ভ, মিথ্যে অজুহাত।
শিক্ষিত হতে পারেনি সুশিক্ষায় --
জাগাতে পারেনি ঘুমন্ত বিবেক, মনুষ্যত্ব অভীক্ষায়।
যে হাতে কলার চেপে করেছে জুতোপেটা --
খেটে খাওয়া হাতে সেই হাত যদি ভেঙে দিতে বেঠা।
গাইতে আসবে না কেউ তোমার পক্ষে সাফাই ---
নারীর বুক, চোখ, নিতম্ব দ্যাখলে পল্কা পুরুষের  শিশ্ন লাফায়।
মজলুম তুমি, হজম করেছিলে নীরবে ---
চোখ ফেটে এসেছিলো জল,নারীর অবৈধ হিম্মতে।
বদলে গিয়েছে জগৎ, বদলে গিয়েছে ভাবনা ---
সম্মান দ্যাখিয়ে থেকে ছিলে নিশ্চুপ --
কমজোর ভেবে উড়িয়েছে ধোপ।
কষিয়ে যদি মারতে কানের তিন আঙ্গুল নীচে --
নারীবাদী, প্রগতিশীল মরতো বিষে --
চেচিয়ে বলতো রিকশাচালক, গরীবের এতো ক্ষমতা কীসে।
বদল করলে গায়ের পোষাক, বদলে যায়না আচার
ভিখারির পয়সা হলেও থেকে যায় ভিখারি চাল।
আইনের দালাল আরতী রানী ঘোষ -- হারিয়ে হুঁশ
দ্যাখিয়েছে জাতিকে বিদ্যার জোশ।