যখন দ্যাখি মায়ের মুখ  -
দূর হ'য়ে যায় মোর মনের অসুখ।
আত্মহত্যার অন্তরতম চিরাচরিত ব্যাধি
দূর হ'য়ে যায় নির্মল হাসির ঝলকানিতে।


আমি ভালো থাকার তন্ত্র-মন্ত্র তুমি
ভুলে যাই অতীতের বেদনার্ত সকল গ্লানি।
তুমি তপ্ত রোদে এক গ্লাস স্বচ্ছ জল -
এক আকাশ ফুরফুরে নির্মল অক্সিজেন।


জোড়াতালি জীবনে বেজে উঠলে বিরহের তুর্য
ইচ্ছে করে ডুবিয়ে দেই জীবনের অন্তীম সূর্য।
তব মায়াবী মুখ ঘুরিয়ে ফিরিয়ে আনে পথে
এক টুকরো হাসির প্রলেপ দেই মম হৃদয়ের ক্ষতে।


এইতো সেইদিন এসেছিলে ভবে -
জড়িয়ে বক্ষে ল’য়ে ছিলো সবে।


দ্যাখতে দ্যাখতে গত হলো বারোটি বছর
তারপরও মনে হচ্ছে এইতো সেইদিন -
প্রসব বেদনার তীব্র যাতনা সইতে না পেরে
মাটি খামচে ধরে কান্না করেছিলো তোমার মা।


যখন দ্যাখি মায়ের মুখ -
সেরে যায় মোর ক্যান্সার সমতুল্য রোগ।
যে ছেড়েছে ঘর আবার সেই করেছে পর
তব জীবন আজ সুখের হ'য়েও বেদনার নীল জলে ভাসছে অন্তর।


তব চোখে এলে জল, কে মুছবে বল?
তিনজন তিন প্রান্তে, ইচ্ছে করলেও পারিনা  -
দারিদ্রতা তাড়িয়ে তব পাশে থাকতে
সর্বময় চোখে চোখে রাখতে, হাত বাড়িয়ে চোখের জল মুছতে।


তব গর্ভধারিণী আছে সুখে জড়িয়ে অন্য সন্তান বুকে
তুমি বাঁচো কিংবা মরো অসুখে তার কি'বা যায় আসে।
ঘুম পাড়ানী গান গেয়ে পাড়ায় ঘুম, তীব্র শীতে দেয় ওম
তুমি বৃষ্টিতে ভিজো, রোদে পুড়ো, তীব্র জ্বরে মরো।