থাকতে কাঁচি, হারালে দাউ
তুষের আগুন জ্বলবে একদিন দাউদাউ!
ধুলোয় লুটিয়ে কাঁদবে হাউমাউ
ছিলো বটবৃক্ষ, ছিলোনা তো ঝাউ।
আসবে যেদিন বৈশাখী ঝড়,উড়তে দেখবে উঠোনের খড়
বাড়বে শঙ্কা, বাড়বে ডর! পাশে পাবেনা দিতে ভর।
মনে পড়বে আজকের মিথ্যে ফাঁকি
বেদনার লোনাজলে ছলছল করবে আঁখি!
ক্ষমা চায়বে, ক্ষমা চায়বে আল্লাকে ডাকি।
দিচ্ছিনা আমি অভিশাপ কিংবা অভিসম্পাত
তোমরা আমার সাত রাজার ধন, অমূল্য সম্পদ।
যখন দেখেছিলাম শকুনিরা নিচ্ছে তোমায় ঘিরে
মৃত্যু পদদলিত করে এসেছিলাম ফিরে।
তোমাকে রাখতে খুশ,পাড়ি দিয়েছিলাম শতশত ক্রোশ
ক্ষমা করতে পারোনি বুড়োর ছোটছোট দোষ।
আকাশ-বাতাস, চন্দ্র-সূর্য ছাড়িয়ে কিংবা মাড়িয়ে
অচিরেই একদিন যাবো হারিয়ে!
হাজার ব্যথায় কাঁদবে, বুকে নিবেনা কেউ হাত বাড়িয়ে
"আমি তো আছি" কেউ বলবেনা এ কথাটি পাশে দাঁড়িয়ে।
পড়াশোনার কথা চিরতার চেয়েও লাগে তেঁতো
ভাল্লাগে না তোমার, বকবক করি অহেতু।
বুকে রেখে দিয়েছিলাম বাবার আদর-মায়ের আদর
গায়ে জরিয়ে দিলে তুমি ব্যথার চাদর।
আসবে এমনও দিন, বাজবে বুকে ব্যথার বীণ
ফুরিয়ে আসছে আলো, ঘনিয়ে আসছে আত্মার লীন।
যখন হারিয়ে গিয়ে লুকিয়ে যাবো মাটির ঘরে
খুঁজবে সেইদিন কথা বলতে প্রাণ ভরে!