(আমার মেয়ের জন্য লিখা)


আমি যদি চলে যেতাম, হারিয়ে যেতাম অন্ধকারে
মাথার উপর হাতটি রেখে, কে বল তো অভয় দিয়ে
ভয় পেয়ো না মা' আছি আমি লোহ পর্বত হয়ে
তোমার উপর আঘাত করা সবকটি জলোচ্ছ্বাস বুক বাড়িয়ে নেবো মোকাবেলা করে।


যারা তোমায় আজ খুব ভালোবাসে
তোমাকে খুব যত্ন করে, ভালমন্দের খোঁজ রাখে
বিভিন্ন কানাঘুঁষায় তা শেষ হয়ে গিয়ে
রাতদিন কাম করিয়ে পান্তা মরিচ খেতে দিয়ে
মা বাপ নিয়ে, জাত-বেজাত তুলে গাল দিতো।


দুঃখে, কষ্টে, ঘৃণা আর তীব্র যন্ত্রণায়
চোখের জল, ভাতের জল মিলেমিশে হতো শামিল।
দুচোখ কচলাতে কচলাতে, প্রশ্ন আওড়াতো মনে
গালি দিয়ে বলতে মোরে, চলেই যদি যাবে ছেড়ে
জন্ম দিয়েছিলে কেন ভবে?


দাদী,চাচা এবং বাবার কবরের পাশে গিয়ে বিড়বিড় করে বলতে
জঞ্জাল ভেবে মা-ও রাখেনি তার বুকে
তোমরা চলে গিয়ে বেঁচে গিয়েছো,
রেখে গিয়েছো এই জঞ্জালটাকে
সইতে পারছি না, বইতে পারছি না এ অপমান।


ঊর্ধ গগনে চেয়ে বলতে, হে আরশে আজীম,
লাওহে মাহফুজের মালিক
মুক্তি দাও আমায়, মুক্তি দাও, মুক্তি দাও।
কেউ এগিয়ে এসে বলতো না, কাঁদছিস কেন খুকী
আয় কোলে আয়, আয় বুকে আয়
কেউ মাথায় হাত বুলিয়ে দিয়ে, মুখে খাবার তুলে দিতো না
মুছে দিতো না চুখের ঐ লোনা জল।


তোমার বাবা তোমার মাথার ছাঁদ, তোমার হিম্মত
পৃথিবীর একজন শ্রেষ্ঠ যোদ্ধা।
জীবনের সাথে লড়াই করে,
মৃত্যুর দ্বারপ্রান্ত থেকে মৃত্যুকে জয় করে
ফিরে এসেছে তোমার জীবনে।