যে পুরুষ স্ত্রীলোকের মনের ভাষা বোঝার
ক্ষমতা রাখেনা তার নারীর শরীর স্পর্শ করার
কোন অধিকারই নাই।


একটা নারী সবচেয়ে বেশি যেটা চায়
তা হচ্ছে তার প্রিয় মানুষটা তার মনের ভাষা বুঝে নিক
সে কিছু বলার আগেই তার প্রিয় মানুষটা
তার ইচ্ছে গুলো  অনুভব করুক।


কিন্তু আমাদের সমাজে অধিকাংশ স্বামী
স্ত্রীদের প্রেমিক হতে পারে না,
তারা কেবল পৌরুষত্ত্বের দাপট দেখিয়ে বেড়ায়
হৃদয়ের কোমলতা দিয়ে তারা নারীকে
মনের রানী করে রাখতে ব্যর্থ
একজন স্বামীকে স্বামী হওয়ার পাশাপাশি
একজন প্রেমিক হওয়া খুব জরুরি।


আমার একটা ভালোবাসার মানুষ আছে
আমি তার স্বামী হতে চাই
আমি তার প্রেমিক হতে চাই
আমি তার অভিভাবক হতে চাই
আমি তার বন্ধু হতে চাই -----


আমি তার কাচের চুড়ি ভাঙার অপরাধে
অভিমানের কারণ হতে চাই
আমি তার শরীর ছোঁয়ার আগে হৃদয় ছুঁতে চাই
ভীষন মন খারাপের দিনে আমার বুকে মুখ গুঁজে
চিৎকার করতে পারার স্বাধীনতা হতে চাই


তার সাথে রোজ বিকালে নিয়ম করে
ফুটপাতের টং দোকানের চা খেতে চাই
রোজ না পারলেও মাসে একদিন তাহার সাথে
রেলপথ ধরে বহুদূর হারিয়ে যেতে চাই
আমি তার স্বামী হওয়ার পাশাপাশি তার প্রেমিক হতে চাই


আমরা দুজন দুটি সত্তার অধিকারী কিন্তু আত্মা একটাই আমাদের দুই দেহ কিন্তু এক প্রাণ
আমরা একে অপরের জীবনে অলৌকিকভাবে আবির্ভূত হয়েছি
অপরিকল্পিতভাবে জড়িয়েছি আত্মার বাঁধনে।


আমরা অলৈকিক ভাবেই সকল বাধার দেয়াল ভেঙে
সকল নিয়ম ভেঙে হয়েছি ঘনিষ্ঠ থেকে ঘনিষ্ঠ
এ যদি অপরাধ হয় এই অপরাধে আমি নরকবাসী হতে চাই
আমি তোমার স্বামী হওয়ার পাশাপাশি প্রেমিক হতে চাই।


আমরা একে অপরের নিঃশ্বাসের শব্দ শুনে বলে দেই
বিপরীত পাশের মানুষটার কি চাইছে
মুখের রক্তিম আভা অথবা কালচে ভাব দেখে বুঝে যাই
তার আনন্দ ও কষ্টের কারণ।


এটাকেই আমি ভালোবাসা বলি
এটা যদি ভালোবাসে না হয়ে অন্য কিছু হয়ে থাকে
তবে আমাদের সম্পর্কটা অন্যরকম।


আমি তোমাকে ভীষণ ভালোবাসি প্রিয়তমা