ওরা হাত পেতে কভু ভিক্ষা চাইনা
শ্রমের দামে মুজুরী চায়,
ঘামের দামে পেট পূজোকরে
হালাল রুজিতে দুবেলা খায়।
ওদের দুহাত আত্নবিশ্বাসে পরিপূর্ণ,
মাতৃ স্নেহ, বাবার আদর,
আছে রোদ্র পাথারে তাপদাহ।
তৃষ্ণা আছে - ক্ষুধা আছে,
হাসি - কান্না, ত্যাগ -তিথিক্ষা
সবি যেন ঐ ভূ-সন্তানের
দু হাতে গচ্ছিত সম্পদ।
খরায় মরা শশান পাথারের
কবর দিয়েছে কৃষক ,
কোদাল শাবলে খাবলে খুবলে
ভূগর্ভ থেকে চুমুকে এনেছে
শীতল পানি।
মাটির বুকে বৃষ্টি সঙ্গম,
বিধাতার পায়ে নতশীরে চুমু আঁকে।
এযে চাষাভুষা কৃষকের রহমত,
প্রভুর দেয়া নেয়ামত।
বীজতলা থেকে শস্য দোলা
প্রতিদিন কত স্বপ্ন,
বধুর নতুন শাড়ি,
মেয়েটার লাল ফিতে চুড়ি,
বুড়ো বাবার তুলার তোশক,
খাবার থালে ঘি,
আরো কত কি ।
হাসি মুখে নবান্ন গেছে -
গেছে পিঠা পায়েসের রাত,
জোড়াতে ভাঙা চালাটা,
গোলায় ফসল, বুকে বল
আজো শক্ত দুটি হাত।
দুজনে ধরে মাথায় উঠাল সোনা,
বাজার মুখো মেঠোপথে
কোমর দুলায়ে স্বপ্নের জালবুনা।
বাজার আকাশে কালমেঘ,
অন্ধকারে অগ্নিচোখ,
ফেটে চৌচির স্বপ্নবাজ -
ভূ-সন্তানের স্বপ্ন বক্ষ ।
বাজার জুরে অশনি বজ্রপাত,
কোনায় কোনায় ভিনদেশি ফসল,
মলিন মুখে নিরবে কৃষক -
উঠায় বিধাতার কাছে হাত।