সাধারনের মাঝে সামান্যও না,
না সামান্যে আমি কিছু,
ধুলোর মায়ায় পরে রই পথে
পিষ্ট ছাড়েনা পিছু।


পিষ্ট হয়েই রোজ ভালো থাকি
পথিকের পায়ে চুমি,
মরি যেন আমি তোমার  বুকে
ওগো জননী জন্মভূমি।


যে মাঠে কৃষাণ ঘামে করে স্নান
রুদ্রে পুড়ায়ে দেহ,
কাদার গভীরে পায়ের নকশা
জড়ায়ে রাখা মোহ।


সেই মোহজালে আজীবন যেন
হয়গো আমার ডুব,
নরম মাটির বক্ষে হাতরে
স্বপ্ন কুড়াবো খুব।


ঘাস ফুল যেথা মুখ তুলে হাসে
ছুঁয়ে বাতাসের ডানা,
ঐখানে আমি হারিয়ে খুঁজি
বাবুই পাখির ছানা,


পাখির ছানারা অনাহারে কাঁদে
অনাদরে ভাঙা নীড়,
রোদ বৃষ্টিতে ভিজে পুড়ে রোজ
কষ্ট রা করে ভীর।


হাজার কষ্টে হাসি মুখে যারা
ভালবাসে নিজ দেশ,
না পাওয়ায় নেই নালিশ কোন
নেই অভিনয় রেশ।


তাঁরাই আমার প্রিয় আত্নীয়
পথের পুষ্প কলি,
মন মন্দীরের  ভগবান ভেবে
সুখে দুখে কথা বলি।


ওদের মত সাধারণে আমি
সামান্য কিছু হয়ে,
ভালবাসার  দান প্রতিদানে
আজীবন যাবো রয়ে।
[ঘামের স্রোত ]