হ্যাঁ রে সমীর, আজ কাল তুই,
ফোনে এতো ব্যাস্থ থাকিস কোথায়।
যখনি দেখি তখনি তুই,
মুখের সামনে ফোনটা নিয়ে কাটে সময়।
কি রে, ব্যাপার টা কি বলনা,
শোনাবি তোর মনের কাহিনী ?
চুপ কেন থাকিস কিছু বলনা,
তোর অন্য কিছু তো হয়নি?


কি আর বলবো তোকে,
হয়েছে তো অনেক কিছু।
কোন কথাটা শোনাবো তোকে
মাথা টা যে হয়েছে নিচু ।
তাই,বলিস কি রে ভাই,
তা হয়েছে টা কি তোর?
খুলে বলনা, শুনি তবে ভাই,
না বললে করবো না জোর।


না না, বলবো না কেনো তোকে,
আর তোকে ছাড়া বলবো কাকে।
আজ আমি যে কথা শোনাবো তোকে,
এ কথা গুলো বলতে পারি না যাকে তাকে।
শোন তবে প্রথম থেকে বলি তোকে,
যা কিছু ঘটেছে ঘটনা।
মনে পড়ে, একবার যার কথা বলেছিলাম তোকে,
সেই যে ফেসবুক এর কল্পনা ।


হ্যাঁ, মনে পড়বে না কেনো,
সে কথা তো বলেছিস আমাকে।
কি রে বল, বলেছিস না কেনো,
সে কি ঠকিয়েছে তোকে।
ঠকা বলতে শুধু ঠকা না,
আরো অনেক বেশি কিছু হয়েছে।
তবে এখন আর কথা হয়না,
কারণ সে আমাকে মিথ্যে জলে জড়িয়েছে।


প্রথম যখন আলাপ হলো,
কতো না ভালো কথা বলত সে।
কথা হতে হতে বন্ধুত্ব ও হলো
একদিন বলল ভালোবাসে আমাকে।
আমি ও তার ভালোবাসায় দিলাম সারা,
আমার ও একটু লাগতো ভালো তাকে।
সে তো খুব খুশি, তার ডাকে পেয়েছে সারা,
সারা দিন শুধু এসএমএস করতো আমাকে।


এই ভাবে কাটে একের পর এক দিন,
কতো না কথা হয় সর্বক্ষণ।
কথা বলেনি এমন হয়নি কোনো দিন,
একটু সময় কথা না বললে আনচান করতো মন ।
ওর কিছু প্রয়োজন হলে,
আমাকে বলত নির্দ্বিধায়।
যেমন ফোনের রিচার্জ শেষ হলে,
থাকতে হতো না তাকে অপেক্ষায়।


এছাড়া আরও ছিল অনেক কিছু,
সব কিছু মেটাতাম আমি।
তার অভাব রাখেনি কোনো কিছু
কারণ সে আমাকে ডাকতো স্বামী।
কোনো দিন দেখা করেছিস তুই?
একবার ও তার সাথে,
আচ্ছা বলত, কোনো দিন বলেছিস তুই?
তোর ফোনের রিচার্জ টা করে দিতে।


না রে ভাই, সে তো হয়নি,
দেখা করার কথা বলেছি যত বার।
তার কখনো সময় হয়নি,
বলত বাবা,দাদা,মা ছাড়বে না আমার।
ফোনে নম্বর দিয়েছে তোকে,
না সেটাও না, শুধু এসএমএস।
মিথ্যে কথা বলবো কি আর তোকে,
সে বলল, বাবার ফোন, পারবো না দিতে, এতেই বেশ।


আমি তো কোনো দিন তাকে,
এতটুকু করিনি জোর।
আমি বলেছিলাম তাকে,
তোমার যেদিন মনে হবে দিও মোর।
তার পর প্রতহ কতো কথা,
কতো গল্প, কতো আলোচনা।
সময়ের অভাবে শেষ হতো না কথা,
মনে হতো আরো একটু সময় বেশি হলে, ভালো হতো না?


অনেক দিন পর আমি দিলাম বিয়ের প্রস্তাব,
চলো এবার বিয়ে করি দুজনে,
সে যেনো একটু ইতস্তত, শুনে প্রস্তাব,
বলল, তারা কিসের, হবে খনে।
আমার মনে হলো কি চায় ও,
তবে কি এটা শুধু কথা?
যা বলি কিছুই করে না ও,
কাটিয়ে দেয় বলে যা তা।


তার পর ও চলতো কথা,
কিন্তু একদিন হলো অবশেষে,
সেদিন বলল আছে অনেক কথা,
আজকের তোমার হবে।
এমন কথা শুনে তো আমি,
একটু হলেও হলো চিন্তা।
তার পর অনেক ক্ষন হলো না কথা,
না জানি কি হলো ব্যাকুল মনটা।


তার পর একটি এসএমএস,
কতো দিন চলছে এমন ঘটনা।
যখন দেখলাম সেই এসএমএস,
মন আর মানছেনা।
আমি বললাম তুমি জানোনা,
কতো দিন চলছে এমন?
একথা তুমি বলছো? তুমি জানোনা,
আমরা একে অপরের দিয়েছি মন।


আর কখনো করো না এসএমএস,
আমি ওর স্বামী, ও বিবাহিত,
যদি কখনো দেখি তোমার এসএমএস,
রাখবো না তোমার জীবিত।
সব কণ্ঠসাঁস হলো  রুদ্ধ,
আমি একেবারে হলাম হতবাক।
আমার বাক শক্তি হলো রুদ্ধ,
আমার সমস্ত শরীর যেনো বিভিন্ন ভাবে হলো ভাগা ভাগ।


তাকে বললাম মারতে হবেনা আর,
আমি এমিতেই হয়েছি শেষ।
কথা দিলাম তোমার, হবে না আর,
কষ্ট চেপে বললাম,যা হয়েছে তা বেশ।
তার পর আর কখনো হয়নি কথা,
সেদিনের পর থেকে।
মনে আমার যা ছিলো কথা,
সব কথা বলে দিলাম তোকে।
ভাই তোর এই ব্যাথার,
দেবার নেই কোনো সমো বেদনা।
তোর এই নিরব ব্যাথার,
দুর স্বপ্ন ভেবে ভুলে যা, মনে আর রাখিস না।।।।