আমাদের গ্রাম সবুজ খামে মোরা,
এক নিদারুণ বৈচিত্র্য স্বরূপ।
প্রকৃতির সুমধুর ও সৌন্দর্যে ছোঁয়া,
নানান মাধুর্যে ভোরা তার রূপ।
ভোরের শিশির বিন্দু চিক চিক করে
মাঠ ভরা ধান ক্ষেতে,
যেনো মুক্ত বিন্দু ঝড়ে পড়ে,
চারি দিক থেকে অঝর্ণাতে।
রাবির মৃদু আলোর ছোটা
পরে যখন এ ধরাতলে,
পাখিরা দালবদ্ধ হয়ে উড়ে যায়,
খোলা আকাশে ডানা মেলে।
তাদের কণ্ঠে ধ্বনিত হয়
নানান সুমধুর সুরে,
শুন্য গগনে, মুক্ত কণ্ঠে
উড়ে যায় দুর থেকে বহুদূরে।
নানান ফুলের সৌরভ চারিদিক ময়,
ভোরে যায় সুমধুর গন্ধে,
কতো না রঙিন ফুলে ভোরে যায়,
গ্রামের প্রতিটি রন্ধে রন্ধে।
সূর্য যখন মধ্য আকাশে
তিক্ত তার তাপের প্রভাব,
কোথা হতে শীতল হাওয়া
তিক্ততার সাথে করে যায় ভাব।
গোধূলি বেলায় যখন সূর্য অস্ত যায়,
কতো না রঙে, রঙিন থাকে আকাশ।
এ যেনো তুলি দিয়ে রাঙিয়ে দেওয়া,
বোঝার নেই তো আর অবকাশ।
সাঁঝের বেলায় চারিদিক ধোঁয়াশায় মগ্ন,
পাখিরা বাসায় ফিরে কিচির মিচির করে।
সন্ধ্যা প্রদীপ জ্বলে ওঠে, শঙ্খ ধ্বনি বাজে,
গ্রামের প্রতিটি ঘরে ঘরে ।
চাঁদের আলো ফোটে যখন,
প্রকৃতির অন্য আর এক রূপ।
শান্ত, শীতল, নিঃশব্দতার মাঝে
সেজে ওঠে আমাদের গ্রামের অপরূপ।।।।