কষ্টের নীশি রজনী
একেবারে শেষ হতে চায় না,
অপলক দৃষ্টিতে নির্ঘুম কুয়াশা গুলো,
কন কনে ঠান্ডা মিশ্রনে
চোখের সামনে কিলবিল করছে ।
একটু প্রখর আলো একটু উষ্ণতা,
এখন বড্ড প্রয়োজন ।


আমার চাওয়া পাওয়া কি
কুয়াশার দায় ঠেকেছে!
আপন গতিতে ছুটে চলেছে
শুন্য আকাশে ।


থর থর দেহ,নিথর হয়ে আসছে,
রক্ত নালিতে জমাট,
হয়তো এখনই ---
এখনই বের হয়ে যেতে পারে প্রাণোবায়ু ।


একটি সকাল ,পাখির কলরব, উষ্ণমাখা সুর্যের আলো,
সবই হয়তো কিছুক্ষন পর জেগে উঠবে,
তখন,থাকবো না আমি আর আমীত্ব ।
পড়ে রবে দেহখানী শক্ত হয়ে ,ফ্রিজে থাকা মাছের মতো ।


কোন মানবের নজরে এলেই তো –এলোই,
না হলে আগত রাতেই,শিয়াল কুকুরে টেনে হিঁচড়ে,
খন্ড দ্বিখন্ডন করবে আমার নিথর দেহখানী ।
পড়ে  রবে আমার জীবনের অসমাপ্ত পান্ডুলিপি ।