(মোবাইল রিং বেজে উঠবে)
নারীঃ -----হ্যালো---কে
পুরুষঃ ---আমি
নারীঃ ---কোন আমি ? কপোত না কপোতি ?
পুরুষঃ-- কি মনে হয় ?
নারীঃ-----কিছুই না
পুরুষঃ---কারণ ?
নারীঃ----- প্রযুক্তির যুগে কন্ঠ  পরিবর্তনের হিড়িক চলছে
নারী/পুরুষ, পুরুষ/নারী, আপনি কি ?
পুরুষঃ-- তথ্য প্রযুক্তিতে গা ভাসানো অগ্রনী এক মহীয়সী আপনি,
কিছুটা জানতাম,এতো অগ্রগামী তা-কি জানি ?
এখন জানলেন তো –
পুরুষঃ-- হুম--
নারীঃ----- এবার দয়া করে আপন নামটি বয়ান করুন,
নিশ্চিত হয়ে নিশ্চিত করে পরিচয় টুকু বলুন ।
পুরুষঃ-- আমি উডোনচন্ডি শরতের নীল আকাশ,
তাইতো ফোন করেছি,পেতে কিছু স্বস্থির নিঃশ্বাস ।
নারীঃ--- উডোনচন্ডি নীল আকাশ,করেননি তবু নামের প্রকাশ ।
কি করে ফেলি আমি স্বস্থির নিঃশ্বাস ?
পুরুষঃ--  আমি দোলন
নারীঃ--- কাকে খুজছেন ?
পুরুষঃ-- দোলনীকে ।
নারীঃ----তাই নাকি ?
পুরুষঃ--- একদম
নারীঃ-----তঅ নিশ্চিত হয়ে দোলনীকে খুজলে,ভাল কি নয় জনাব ?
পুরুষঃ-- নিশ্চিত যেহেতু নয়,অন্ধকারে ঢিল ছুড়তে হয়,যদি পেয়ে  
যাই,রোধ হবে জীবনের ক্ষয় ।
নারীঃ-----জীবনের ক্ষয়?
পুরুষঃ-- ৪৮ বসন্ত পার হতে ১৫ মিনিট বাকি
নারীঃ-----মানে রাত ১২টা বাজলেই----
পুরুষঃ-- (কেচিং) সঠিক,৪৯ বসন্ত শুরু হবেই ।
নারীঃ-----আজবতো—
পুরুষঃ--আমি কার কে আমার,পাইনি খুজে তারে, ঊষার আকাশে হিমেল বাতাসে,আপন আত্মা কেঁদে মরে
নারীঃ----আমি কি করতে পারি জনাব ?
পুরুষঃ--আপনি ?
নারীঃ---হুম
পুরুষঃ--পারেন ,
নারীঃ---কি?
পুরুষঃ-- আমার জন্য রান্না করতে –
নারীঃ---কি রান্না করবো ?
পুরুষঃ-- আমি যা খাই
নারীঃ---ও তাই---(ডেকসির আওয়াজ)
কিসের শব্দ ?
পুরুষঃ-- হাড়িতে তরকারী ।
নারীঃ---আপনি রান্না করছেন ?
ছুড়ি সুটকি বেগুন,পানি দিলাম দ্বিগুন,তবুতো ডুবে না ।
নারীঃ---হা হা হা
সুটকির তাপে বেগুন যদি মজে,দিতে হয়না দ্বিগুন পানি,আগুনের তাপে মিশে একাকার,
তখনই হয় মজার খনি ।
পুরুষঃ---আর দেরি কেন ?
নারীঃ---মানে  --
পুরুষঃ--হৃদয়ের তাপে হয়ে যান দোলনী,আমি তোমাতে হারাই,তুমি আমাতে, সৃষ্টি করি প্রজম্মের খনি ।
নারীঃ---আমিতো আমার নই,আছে গুরুজন,জম্মাবদি মেনেছি গুরুর বচন ।
পুরুষঃ--আমার গুরুজন গিয়েছিল যখন,তোমার গুরুজনের কাছে,
          কহিল তারা মোদের তনয়া,যদি থাকে রাজি,
  আমাদের আপত্তি কি আর আছে ?
নারীঃ---- ও তাই ? ভিতরে ভিতরে এতদুর ?
পুরুষঃ-- অজানায় ঢিল ছুড়িনী ,মধুময় কথন শুনিতে,তাইতো মোবাইলে ফোন দিয়েছি এ রজনীতে ।
নারীঃ----বেগুনে পানি শুকালো ?
পুরুষঃ-- এ মাত্র ।
নারীঃ----এবার ?
পুরুষঃ---করিবো ভোজন ,যদিও দুরে সূজন ।
নারীঃ----আমায় ডাকবেন না ?
পুরুষঃ--আসিতে যদি সোনায় সোহাগা,বসিতাম দুজন মাদুরা বিচিয়ে
নারীঃ---ছুড়ি সুটকি গুলো, তুলে দিতাম পাতে,হাত পাখা দিয়ে বিছিয়ে
পুরুষঃ---আমি স্বপ্ন দেখছি নাতো ?
নারীঃ-----একদম না ।
পুরুষঃ--- তারপর
নারীঃ----আপনি বলুন
পুরুষঃ-- আপনি নয় তুমি ।
নারীঃ----আচ্ছা তুমি ।
পুরুষঃ--  বল এবার ।
নারীঃ----আঁচল দিয়ে মুছে দিতাম মুখ,  তারপর ?
পুরুষঃ-- সুখে আমার ভরে যেতো বুক ।
নারীঃ----জানো ?
পুরুষঃ---কি
নারীঃ----আমি খুজছি একটা নির্ভর প্রহর,বন্ধ প্রতিম বৃক্ষছায়া, জ্যোৎস্নার আলোতে পরাগ মাখা তোমার মত কাউকে ।
পুরুষঃ---খুজে পেলে ?
নারীঃ---- জানিনা
পুরুষঃ---তোমার হীরকচুর্ণ ভালবাসা,আমি আকড়ে ধরবো,
নারীঃ---- সত্যি বলছো ?
পুরুষঃ--  সাজিয়ে গুছিয়ে কাব্য করে হয়তো বলতে পারবো না,যেহেতু আমি কবি নই,তবে তোমাকে------
নারীঃ----  কি ?
পুরুষঃ--  ভালবাসি ।
নারীঃ----  সত্যি ?
পুরুষঃ---তোমার ভালবাসা পেলে এবার মানুষ হবো ।
নারীঃ---- তাহলে এখন কি ?
পুরুষঃ---জীবনকে চালিয়ে নেয়ার চাকা
নারীঃ---- ও তাই ?
পুরুষঃ---  হুম----আচ্ছা ?
নারীঃ----   বলো ।
পুরুষঃ----তোমার বাতায়ন খুলা ?
নারীঃ---   হা-তো ।
পুরুষঃ---  পুর্ণিমার আলো ঢুকছে ?
নারীঃ---   হা ঢৃকেছে তো
পুরুষঃ--   ঘরটা কি আলোকিত ?
নারীঃ---   একদম ফক ফকে
পুরুষঃ---- এ সময় কি করতে ইচ্ছে করছে ?
নারীঃ---    ভালবাসতে---
পুরুষঃ--- অফুরন্ত অতৃপ্ত পিপাসা, মিটিবে কি মনের আশা ? বাতায়নে পুর্ণিমার চাঁদ যেমন---
নারীঃ---   থাকবো দাঁড়িয়ে বাতায়নে, চাঁদের আলোর কিরণে, আমায় ভালবাসবে কেমন ?
পুরুষঃ--- চিৎকার করে বলবো ---ওহে চাঁদ তুমি সাক্ষি থাইকো
   তোমারই আলোতে এ নীশি রজনীতে,বাঁধিছিনু যারে প্রেমোডোরে----
নারীঃ---   শয়নে স্বপনে নিশী জাগরণে,আজীবন ধরে রেখো তোমারই বাহুডোরে ।
(দুর থেকে একটা শব্দ,)
দোলনী এ দোলনী,
নারীঃ--- এ্যা রাখো ,বাবা বুঝি এলো,
পুরুষঃ--- আহারে আর বুঝি সময় ফেলো না ,আচ্ছা রেখো ,
  শুভ রাত ,আমার থেকো ।
নারীঃ---   শুভ রাত ।