প্রথম  আদির সেই মহালগনে ,
ব্রহ্মান্ড সৃষ্টির বিধ্বংসী র্গজনে
আমাদের আর্বিভাব ।
তারপর যুগে যুগে ,অনন্ত কাল জুড়ে  -
আমরা বদ্ধ আছি ,অনন্ত শক্তির মহা আলিঙ্গনে  ।
একই তেজ একই দ্বীপ্তি
তবু চিরন্তন বিপরীত শক্তি ।
তাই বুঝি দুজনের প্রতি দুজনার ;
আর্কষণ  দুর্নিবার ।


আমরাই পুরষ ও প্রকৃতি ,
মোদের মিলন দেয় জগতের গতি ।
পুরুষ ও নারী হয়ে ,আসি মর্তে  ,
মেতে উঠি নিত্য নব সৃষ্টিতে ।
আমাদের দেখা পাবে এই জগতে -
প্রতিটি বস্তুর অনু পরমাণুতে ।
কোয়ার্ক আর এন্টি কোয়ার্ক হয়ে ,
নিত্যা নতুন বস্তু কণার জন্মের বার্তা বহে -
আমাদের অবস্থান ।


তুমি ইলেকট্রন তো আমি পজিট্রন ,
কখনও বা ক্ষুদ্রতম কণা বোসন ,
আমরাই বিজ্ঞানীর নব সৃষ্টি – যমজ  ফোটন ।


এই অনন্ত ব্রহ্মান্ডে
অনন্ত শক্তিবলে যতদিন আছি কাছাকাছি
আমরা অজেয় অমর ।


তারপর কোন একদিন ,
কোন এক অশুভ শক্তির ডাকে ,
হয়ত হারিয়ে ফেলব দুজন দুজনাকে ;
স্থান নেব কোনও এক অন্ধকার লোকে ।
শুধু নিজের শক্তি নিয়ে সাথে ,
হারিয়ে যাব গভীর শীতল রাতে ।


অনন্ত কাল পরে ,
আবার সৃষ্টিকর্তার বিচিত্র খেলাতে ,
ব্রহ্মান্ড জুড়ে তাঁর তার অসীম শক্তিতে -
অনন্ত সংসার হবে সঙ্কুচিত।
তারপর মহাবিস্ফোরণের সাথে ,
একে অন্যের দেখা পাব এক নতুন প্রভাতে ।


সৃষ্টির্কতার আদেশেতে ,
নতুন ব্রহ্মান্ড গড়ার নতুন খেলায় ,
খুঁজে পাব দুজন দুজনায় ।