আমি তো শুভময় নোই,
আমি সুধাকর কি সুরকারও নোই,
নোই আমি শিল্পী, আমি তো স্রোতা;
কেবলি  সাহারা আমার মন চেতনার।
শৈল্পিক সুষিলভ শুভময় নোই।
আমি তো শুভময় নোই;


নোই আমি সুশীতল শৃংখোল নদী।
নোই আমি শংখোচীলে ডানা,
নোই আমি শান্তির পায়রা,
আমি তো নিভরিত ঘুম নোই,
নোই আমি পৃথিবীর মণিমুক্ত,
আমি তো স্রোতা শুভময় নোই ;


আমি তো শুভময় নোই ;
তোমায় কেন আমায় শুভময় হতে আহবান কর,
কেন প্রশ্ন তোলো কেন আমায় ভাবনায় ভাসাও!
জানো আজ আমি তিক্ত;
তিক্ত পৃথিবীতে সুখ খুঁজিতে গিয়ে!
প্রেমকে কুলবদ্ধ করিয়া সে কুল হারা আমি
জানো না প্রেম হারা কেউ কেমন তরপায়,
সে কি পৃথিবীর কল্যাণ খোঁজে, খোঁজে না;
সে কি শুভময় হতে পারে!


আমি তো শুভময় নোই ;
আকাশের চাঁদকে সুন্দর বলা যায় সহজে,
পরিনিত অবহেলা কে অভুক্ত,
অপুর্ণ ইচ্ছে কে একারোখা,
আমি যে সেই অভাবে দরিদ্র।
যে আমি পৃথিবীর কল্যাণ খুঁজিনা
যে আমি আত্মা পরমাত্মার সমন্ধ বুঝি না
যে আমি ধর্ম অধর্মের মাঝখানে।
সেই আমি কি শুভময় হতে পারি?
আমি তো শুভময় নোই ;


শুভময় তো সে-
আনবিক চরিত্র গুনে উজ্জ্বল
সুষিলভ সম্ভাষণে যে নিজেকে বিলিন করে,
সৃষ্টি সুখের উল্লাসে জগৎ জাগরত করে,
শৃংখোল জ্ঞানের আভায় অবহেলিত জীবনের রসদ জোগায়।
যার কথায় কথায় পৃথিবীর কল্যাণ,
যে সকল মানবতাবাদের মনিবর,
সেই তো শুভময় ;
শুভময় আমি তো নোই;