বহে ইতিহাস বিহঙ্গে বিহার কে,
কে ছিল উড়িষ্যার অধিপতি?
সে কথাও মনে লাও অভিসারে।
তড়পায় ছটফটিয়ে কেঁদে ছিল যাঁরা,
দাঁড়িয়ে ছিল অশ্রু সাগর কুলে।
ভয়ে অভিক্ষুণ ছিল যে জাতি,
তাঁরাও অস্ত্র হাতে ছিনিয়ে ছিল মাতৃভূমি।
পলাশীর পান্তর রাঙা এক মনান্তর,
হইলো শহীদ বাংলার নবাব!
শাসনে  শোষণে নিপিড়ীত জাতি,
সহে অত্যাচার অকপটে মাথানুয়ে রহিলো যুগ ষোলর বেশি।
সহে না যাতনা অত্যাচার আর কালভরি,
তাইতো আবার বজ্রকন্ঠে প্রতিবাদে অস্ত্র ধরি,
রক্ত বিনিময়ে পেলাম বঙ্গভূমি।
ভাবি এইবার শাসনের শোষণের হইলো শেষ;
৪৭ শে আমরা পাইলাম দুই দিকে দুই দেশ।
ক্ষণিকর ভয় ভুলিল এ অন্তর ;
মলিন আবেশে ভাইয়ের বেশে রহিলাম মিশে,
মিলেমিশে ভাইয়েরা যে নিলো চুষে,
সর্বস্ব হারিয়ে মুখ বন্ধ আবেশ,
ভাষা রইলো না মোর জাতির কন্ঠস্বরে,
ছিনিয়েছে তারা সজাতি হীন যারা।
শুধু ক্লান্তি আর দির্ঘশ্বাস নয়নে অশ্রু,
কন্ঠে নিরব ধ্বনির আবাদ বসবাস-
সহে না মোর প্রাণে।
মা'কে মোর ডাকতে হয় ইশারা দিয়ে অশ্রু ভেজা নয়নে!
সহে না যাতনা সহে না ব্যতিহার,
নির্বাক কন্ঠে ফুটিলো উচ্চ স্বর।
৫২ তে বিদ্রোহে ভাঙ্গিল রাজপাট,
হইলো শহীদ আমার মায়ের দামাল ছেলেরা!
রক্ত স্রোতে ভাসিলো রাজপথ ;
বিনিময়ে উৎফুল্ল প্রফুল্ল আজ মোর কন্ঠস্বর।


শত যাতনা সহিয়া রহিবো কতো কাল,
বিদ্রোহী জাতি মোরা প্রতিবাদে ভাঙ্গি পাকদের শান।
আবারো উচ্চস্বরে বিদ্রোহে বিদ্রোহে বাংলার বাতাস করি ভারি।
শ্লোগানে শ্লোগানে মুক্তি সংগ্রামে যুদ্ধে ঝাপায় পরি,
রক্ত স্রোতে ধুয়ে বিজয়ের মালা গাঁথি।
বিজয় উল্লাসে জন্মে সজাতির দেশ;
বাংলাদেশ, বাংলাদেশ ;
আমার প্রাণের প্রতিছবি,বাংলাদেশ ;