রাতের কুয়াশা কণাগুলো একে একে সাজিয়ে,
খোলা মাঠ,দিগন্তের শেষ প্রান্তে,
পৌছেয়ে দিয়েছে নিরবতার অন্তরন,
খুঁজে ফিরি অন্ধকারে নীল সায়রে চাঁদ।


লতাগুল্ম শিশির ভরে আছে শুধু,
দূর থেকে মনে হয় বকুলতলায় তুমি দাঁড়িয়ে,
দু হাতে রেশমি চুড়ির ঝংকার মুখে তার হাসির পুলক,
কতো দিন পর দেখা, ঠিক যেন বনলতা।
জীবনের সব আনন্দ মেখে নিয়ে,
মেঠোপথ, ঘাস,দূর্বাদল অনাঘ্রাত হাসি,
সময়ের টান পিছনে ফেলে,
মনে হয় ছুটি মল্লিকার পিছে।


হৃদয় বন্ধনে আরালে তুমি,
ভালোবেসে তোমায় হারাই অন্ত অনুভবে।
চোখে খেলা করে মায়া হরিণীর মায়া,
তোমায় খুঁজে ফিরি দূর আকাশের মায়ায়।
তারা গুলো নিরবে ঢালিছে মৃদু সোনা আভা,
শিশির কণাগুলো আলোয় ঝলমল করছে,
মায়াবী ছুটে আসো আমার অঙ্গনে,
খুঁজে ফিরি তোমায় আধো ভেজা পান্তরে।


ধোঁয়া কুয়াশা যদি কেটে যায়,
দূর আকাশে সূর্য যদি না ফাঁকি দেয়।
যদি খোলা মাঠ সবুজে না ভরায় চারিপাশ,
চারপাশ বালুময় তপ্ততায় মরুভূমি হয়ে যায়।
তাতেও বিস্মিত হব না আমি!
খুঁজবো তোমায় মরুর মরুদ্দানে মরীচিকার আহবানে ;
অজানা মরুর বুকে পথ না জানা পথিক বেশে,
খুঁজে ফিরি তোমায় চিৎকারে চিৎকারে ।


যদি ঢেউয়ে ঢেউয়ে তোমার সামপান ছুটে যায় দরিয়ার মাঝপানে ।
যদি খুঁজতে হয় তোমায় অর্ধশ্বাসে,
আমার ছোট্ট ডিঙি, পালছাড়া শাবকের মত খুঁজবো তোমায় ঢেউয়ে ঢেউয়ে,
আজও খুঁজি তোমায় আমি আমার অন্ত অনুভবে।