ঘুমন্ত তুমি ঐ গগন পাড়ে,
কর খেলা সারা গিষ্ম জুড়ে।
জৈষ্ঠ্য যখন আসে থাকো তুমি চুপটি করে।
আষাঢ় আসার আগমনে তোমার দেহ ভাসে,
নাই রুদ্ধ দেহ তোমার,শীতল অঙ্গে
বিধাতার পরিমল শান্তি তুমি,
যেন ভূমি বৃক্ষ বনে।
বৃক্ষ জনে করিবে গুণ কীর্তন,
তোমার স্পর্শে হইবে যখন সুশীতল।
ভূমির মাধুর্য  তুমি মাঠের ঝংকার;
পথিকের পথে তুমি ক্লান্তি শেষে প্রশান্তির আসফলন।
কৃষকের হাসি তুমি আগুন ঝরা জৈষ্ঠ্যে,
কৃষাণীর মুগ্ধ মৃদু গান তুমি নকশীকাঁথার বুকে;
আষাঢ়ে ঘরের কোণে নতুন বধূর লজ্জা তুমি,
সারা বৃক্ষ বনে;
বৃষ্টি তুমি নিঝুম রাতে সুরের অংকার,
ভোর বেলার ঐ কিশোরীর নুপুরের ঝংকার।
তুমি কিশোরের আনন্দ সারা দুপুর ভরে।
তুমি কিশোরীর উচ্ছ্বাস রুপালি নদী জলে;
তুমি যুবাদের আড্ডা বয়সী বটের তলে।
তুমি কৃষাণী দের পানের বৈঠক,
শ্রাবণের গোধূলি ক্ষনে।
আষাঢ়ে আশ্বাস তুমি পূবালী নদীর বাঁকে,
বৃষ্টি তোমার আাগমন সাঝে,
নতুন এ ধরা আনন্দে হাসে।