সুবর্ণা;অনেক দিন পর তোমায় দেখলাম,
অনেকটা বদলে গেছ তুমি।
অনেকটা আধুনিক হয়েছে তোমার ছায়া,
খুব ভালো লাগলো,
ভালো লাগলো তোমার বদলে যাওয়া।
সেই চোখ আবার নতুন করে দেখলাম,
যে চোখ কালো কাজলে মায়াবী হয়ে থাকতো,
তা এখন আর নেই ;
সেই চোখে মাসকারার রঙিন মার্তুন্ড।
সুবর্ণা; তুমি বদলে গেছ অনেক,
তোমার সেই সুন্দর কেশপাশ আজও আছে,
মেঘ ভোলানো দিঘল কালো চুল আজও তোমার পিষ্ঠে খেলা করে।
কিন্তুু তাতে সেই আভামাখা কাঁচা বকুলের ন্যায়-
স্নিগ্ধ সুবাস বাতাস কে মাতায় না।
সুবর্ণা;তুমি বড় আধুনিক হয়েছো,
তোমার ঠোঁট দুটো আরো বেশি রঙিন হয়েছে,
কিন্তুু তাতে নেই মায়া ভরা মিষ্টি হাসি,
নেই সেই রসালো কথার ঝুড়ি।
সুবর্ণা;একি পোশাক পরেছো,অনেক বেশি আধুনিক।
তবে জানো;যেদিন তোমায় প্রথম দেখেছিলাম,
লাল শাড়ীতে তুমি রাঙা পদ্মের লাজুক আর নমনীয়,
তোমার খালি পা তোমার সারা শরীর যেন স্নিগ্ধতায় চির সবুজ।
সেই স্নিগ্ধবতী নারী তুমি,
আজ শহরের রাজপথে নির্লজ্জের মত চলছো।
এই তোমার কর্ম ব্যস্ততা,
এই তোমার পরিবর্তন,
এই তোমার স্বাধীনতা,
এই তোমার আধুনিকতা,
এটাই চেয়েছিলে জাতির কাছে,
নির্লজতার উপহার ;
কর্ম ব্যস্ততার নামে নিজেকে প্রদর্শিত করতে,
নারীর নারীত্ব আর মায়ের মাতৃত্ব কে করেছো হীন।
হতে এসে মুক্ত বিহঙ্গ হয়ছো নন্দিনী,
না থাকতে চেয়ে বন্ধিনী,
হয়েছো বেগানাদের সঙ্গিনী হয়েছো নন্দিনী।