আমি সেই ছেলে;
জিজ্ঞাসিও না আমায় কে আমি?
হয়তো দিতে পারবো না আমার পরিচয়!
তবুও জিজ্ঞাসিও না আমায়?
উচ্ছসিত হতে হবে তোমায়।
আমি সেই ছেলে ;
রাজ পথের অঙ্গনে রক্ত ফুলের কানন,
জন্মে ছিল যেথায় একাত্তরে।
যেথায় গোধূলি আর ঊষা লগ্নে,
মাটি অম্লান হয়ে থাকতো রক্ত লাল আবেশে।
সে মাটি অঙ্গে মেখে হাজারো,
রক্ত ফুলের কানন ভাঙ্গিয়ে যে মহীয়সী,
যে অনিত্য মুখ ক্ষণপ্রভা নারী,
হানাদারদের হাত হতে রোক্ষিল এ দেশ।
আমি সেই মায়ের সন্তান,
এই আমার পরিচয় অশেষ।


আমি সেই ছেলে ;
মায়ের হাতের স্পর্শে অমৃতের সাধ মেখেছি,
সেই কবে সারা শরীর জুড়ে।
সেই উলম্বিনী কপিলাবস্তু প্রাশাদের চুড়া,
আর কি চোখ ঠেরে তাকাবে তাঁরা।
জানবে কি বৈশাখী পূর্ণিমা আজ,
শুনবে কি আমাদের বোধদয়।
যখন সন্ধ্যা হলে মায়ের বহুডোরে,
নিষ্পাপ মুখ লুকতাম,
ডুবে থাকতাম স্বর্গ সুখের ভুবনে।
আজ পদ্মা মেঘনা সুরমার তীর থইথই পানি,
অকাতরে অন্ত দহনে আমি কাদি।
মা' এই কি বিনিময় করেছিলে,
রক্ত শ্বাসে জীবনের শীয় সময়।
সময়ের হাত ধরে জীবনের সব সুখ ছুয়ে হতে চেয়েছি-
আমি সেই ছেলে ;


আমি সেই ছেলে ;
আমার চোখের জল নিঃশব্দে মিশে যাবে,
চাঁদ শুন্য বক্ষ দূর দূর অবসন্ন্য রাতে।
বধি বৃক্ষ ঝরাবে কি কিছু বোধদয়ের পাতা,
ফিরবে কি তখন তুমি?
রুদ্ধবেশে দির্ঘশ্বাসে জীবনের অবসান্নে।
পরিচয় কি হবে মোর এই দেশে,
আমি সেই ছেলে ;