নিদ্রার মোহবন্ধন আর  অলীক প্রেমের সখ্যতায়
ঋণ শোধের দীর্ঘশ্বাসে শুধুই মাতামাতি।
বাল্যসন্ধ্যায় কোন এক নিরালায়
রঙিন গানের সুরে চায়ের টেবিলে!
অলীক প্রেমের সখ্যতায়।
অজানা শক্তির মোহবন্ধন!
প্রহেলিকা সেই অপসৃয়মান ছবি
দেহজানের তীব্র জটিলতায়
সুশীল সমাজের ভয়ে ভীত
তবুও কান পেতে শুনি দেহসুর।
কষ্টের পিচ্ছিল সিঁড়িতে বিলাপ
দূর রজনীতে ব্যথার বালুচর
আজও পাইনি খবর দূর অজানায়।
মনোকষ্ট, ভরা নদী আজ মরা নদীর তপ্ত ক্ষরায়
ঝরে না বৃষ্টি দূরে খাঁ খাঁ রোদ্দুর
মেঘ, ছায়া আর মরীচিকায় মাতামাতি
অলীক প্রেমের সখ্যতায়।
পলাশ-মুকুলের বসন্ত বাহার
বক্ষে বেদনার সীমাহীন আহার
হৃদয়ে সুপ্ত বসন্তবীজ। চৈত্রের উড়ন্ত পাতায়
ফাল্গুনের গোধূলি আলোয়
মেঘবর্ষা আর বিষণ্ন মলি­কায়
ঝরে পড়া গুটি আমের সাথে।
অলীক প্রেমের সখ্যতায় মাতে।
অজানা শক্তির মোহবন্ধনে।
অপরাহ্নে নিদ্রাচ্ছন্ন
আকষ্যৎ নিবিড় শূন্যতায় জাগরণ
অদৃশ্য হরফে লেখা বসন্ত উৎসব
নীরব উচ্ছাস! তবুও মেতে উঠি ভোরে
খাঁ খাঁ রোদ্দুর প্রান্তরে
ফুল ছেড়ে ফলের সমাগম, ভারে ঝুলে পড়া ডাল
মাটির কোলেতে স্পর্শ কোথাও চুমু দেয় আবার---
গাণিতিক বিচারে চার/পাঁচ হাত
মানসিক দূরত্ব চার-পাঁচ কি.মি. হবে
সুশীল সমাজের ভয়ে নীরব উচ্ছাস ষেথায়
অলীক প্রেমের সখ্যতায়
অজানা শক্তির মোহবন্ধনে।