সামান্তপ্রথা বিলোপ হয়েছে বটে,
          কিন্তু পুঁজিবাদের অনুপ্রবেশ ঘটেছে কৃষিতে।
সরকারি ব্যাংকের ঋণ যায় কালো বাজারিতে,
            এনজিওগুলো চড়াসুদে হানাদেয় বাড়িতে।
আমাদের দেশে, আমাদের কৃষক সমাজ
        হাউজিং প্রকল্পের খপ্পরে পড়ে ভূমিহীন আজ।
তারপর ছোটে শহরের পথে
                বস্তিতে থেকে রিস্কা চালায় পথে পথে।
মিছিলে মিটিং-এ আমরা দেখাই কত শত যুক্তি,
কৃষকই জাতির প্রাণ, দেশ-জাতির অর্থনৈতিক শক্তি।
গরিবের সমাজে নেই কোন স্থান, এ যেন অভিশাপ!
               অভাগির অশ্রু সে তো আমাদের পাপ।
লোভি-স্বার্থপরই সমাজকে ধরেছে টুটি টিপে,
     দুর্নীতি-সিন্ডিকেটের গ্রাসে অবরুদ্ধ দেশ!
নিঃস্ব করছে জাতিকে ধাপে ধাপে, আর করছে শেষ।
সামাজিক রাজনৈতিক অর্থনৈতিক বৈষম্য বাড়ায়,
        গণতন্ত্রের সচল গতি হোঁচট খায় দুনীঁতি পায়।
সমাজের সুবিধা বঞ্চিত মানুষগুলো দুনীঁতির শিকার
তবুও, আমাদের প্রত্যাশা দুনীঁতি মুক্ত সমাজ গড়ার।



                                  (১৯ ডিসেম্বর ২০০৯)