আমরা সমালোচনা যতটা না করি নিজের,
         তারচেয়ে ঢের বেশি করি অন্যের।
  আত্মসমালোচনা ভুলে, সমালোচনায় উঠি ফুলে
             প্রতিপক্ষের দোষটা আনি তুলে।
সন্ত্রাসী, স্বজনপ্রীতি, দলবাজি, চাঁদাবাজি,
   লুটপাট, দখল করে সবাই সাধুসাজি।
           দুনীঁতি,সুদ-ঘুষ! ওতো, ওরা করে!
    অতিষ্ঠ জনগণ মরে ক্যাডারের অত্যাটারে।
সবাই বলে, আমার নয, এটা ওদের অপকর্ম!
ধামাচাপা দিয়ে, দোষ অন্যের ঘাড়ে চাপানেই ধর্ম।
রাজনৈতিক কর্মকান্ডে সবকিছু করি বিতর্কিত,
আমরা নিরাপরাধ জনগণ সর্বদাই ভয়ে আতঙ্কিত।
দলীয় ক্যাডারের অপকর্ম ধামাচাপা দিতে তৎপর,
     দাঁড়িয়ে আছি যেন সন্ত্রাসীর লাভার উপর।
               সন্ত্রসীরা যখন মানুষ মারে,
                মানবধিকার তখন কি করে?
সন্ত্রাসীদের ক্রসফায়ার দিলে মানবধিকার হয় লঙ্ঘিত!
আইন প্রয়োগকারিদের নিয়ে আমরা ভীত শঙ্কিত।
আইনের শাসন গণতন্ত্রের রাজনীতিতে সব কিছু ভালো,
কিন্তু দুনীঁতির খপ্পরে পড়লে সব কিছু হয় কালো।
আমাদের আছে কি মানসিকতা? আত্মসমালোচনা করার!
দোষটা খোঁজাই যেন সমালোচনার মুখ্য উদ্যেশ্য সবার।
কে শিখবে ! কার কাছে শিখবে রাজনৈতিক শিষ্টাচার?
ভুল, দোষ স্বীকার করাটাই গণতান্ত্রিক ব্যবহার।