একি কথা ! ওরা পড়ে র’বে মুথ গুজে,
নিভৃত ঐ পল্লীতে , শহর-বন্দর নিকুঞ্জে!
     ভয়ে ভীতে স্তব্ধ! নীরবতা,
     নিভু নিভু জীবন দেবতা!
’মর শালা ! মর !! পড়ে থাক।’ শুধু বলে,
মারার কৌশল আটে, ফন্দি করে কৌশলে।


কাজ করে নেয় ঠিকই, দামের সময় কারসাজি,
ওদের বিরুদ্ধে বললে, র’বেনা শীর। তাও বুঝি।
        তাই মুখ বুজে সইতে হয়,
        জীবনটাই যেন অভিনয়!
মারতে মারতে শেষে, তাকায় গম্ভীর বেশে,
অভাগিদের জীবনটাই কষ্টের সাগরে ভাসে।


রাগ করে পড়ে থাকে মাটিতে মুখ গুজে,
হাহাকার রব ওঠে আজ বিশ্বের মাঝে।
         এতো অবিচার অত্যাচার,
           ব্যবধান ধরণীর পর!
তবুও সহ্য করে নিপীড়ন-নির্যাতন মুখ বুজে!
অভিমানে পড়ে রয় রাগে ক্ষোভে মুখ গুজে।


নীরবে অনাহারে পড়ে থাকে ধরণীর পরে,
না দেখার ভান করে চলে ওরা দূরে দূরে।
         ওকি জ্যান্ত! নাকি মরা?
         থমকে দাঁড়িয়ে দ্যাখে ওরা!
দিকে দিকে আজ চলছে শুধু ফাঁকিবাজি,
তবু বলছে ওরা, বেটা অতি চালাক পাজি।


মার খেতে খেতে অসহায়, হয়েছে দূর্বল,
মিথ্যা মামলায় ওদের জীবন আজ অচল।
         তাই পড়ে আছে
         ধরণীর কাছে!
ভিকমাগি বিধাতার কাছে একটু খাদ্য চাই!
মাথা গুজার মতো জায়গা, ধরণী দিয়েছে ঠাঁই।


সইবে কতো আর অত্যাচার। নির্মম অবিচার!
টুটি টিপে ধরে, গ্রাস করছে মোদের আহার।
         মারে অভিনব কৌশলে,
         ছলে বলে কলে কৌশলে!
শুধু এটুকু নয়। জীবন জগতে অরো কতো কি !
মারে আর বলে, তোষামোদী ছাড়া তোদের আছে কি!


লাশের পরে লাশ, ঘর ছাড়া করেছে ওরা আজ!
সেই হুঙ্কারে , ভয়ে ,ত্রাসে কাঁপে তরুরাজ।
         এর নাম কি মানবতা
         এতো অত্যাচারিতা!
ভয়ে ত্রাসে কাঁপে ধরণী। তবুও তুমি অতি মহিয়ান,
সব কিছু সহ্য করো নীরবে, তুমি সর্ব শক্তিমান।


শোষণের মরণ ছোবল মেরেও তারা আজ মহারাজা,
দরবেশ, নেতা-নেত্রী সবাই আপন স্বার্থে ধান্দাবাজ।
         বলে, যে মরছে মরুক,
         রোগে যার ধরেছে ধরুক!
দুর্নীতি, স্বজনপ্রীতির ত্রাসে কাঁপে আর সন্ত্রাসে ভূগি,
নীপিড়ন শোষণে বাঁচার ঠাঁই নই! মোরা যে অভাগি।


মার খায় শুধু, বলে না কিছু, খায় লুটোপুটি,
মৃত্যু যে আজ দুয়ারে দুয়ারে ধরছে টুটি।
         শোষণের ছলে
         নীপিড়ন চলে!
তাই মুখ গুজে পড়ে থাকে মাটির মমতা টানে,
নির্যাতন নীপিড়ন শেষে, মারে ওদের প্রাণে।