মহাকাশের কাঁধে নভোচারী নির্ভর,
মৃত্যুর ঠোঁটে নিশ্চিত প্রীতি অনন্তকাল।
ধূসর পালকের রক্তিম দিগন্ত সীমানায়,
স্মৃতির দুয়ারে ঘুরে আসি তারই আশায়।
অবিরাম কষাঘাতে শূন্যের ঘোরে আছাড়ায়,
পাপ-পূণ্যের সংকট মৃত্যুর আখড়ায়।
সম্মুখে আমি উল্কার আদি উদভ্রান্ত
শীত-বৃষ্টিতে গোচরণভূমে পরিশ্রান্ত
                       প্লাবিত সংসারে।
সম্মুখে চলি পড়ন্ত বিকেলে ক্ষমা করো মোরে;
নদী-বৃক্ষ-পাখি শেষকালে আজ ফাঁকি,
মহাকাশ থেকে ছুটে আসে আগুনের ঝাঁকি।
প্রকৃতির চুম্বনে প্রিয়তমার বিদ্রুপ শুনি
পাথরের উন্মাদনায় নিশিতে প্রলাপ গুনি,
রোদ্দুরে কালো চোখ রক্তিম দৃষ্টিপাত
মৃত্যুর কোলে পরাজিত পথিক বিদায়ের আঘাত,
নিঃসড় দেহে লিখেছে বন্ধু নতুন চিঠি
ক্ষিপ্রতম অস্থিরতায়-ক্ষীণতায় সম্মুখে হাঁটি।
বিজয়ের উল্লাসে উৎসবে মাতি ক্ষণে ক্ষণে
নয়নসম্মুখে বসি রক্তিম স্বর্গীয় বিষপানে;
আত্মমগ্ন পাপড়িহীন ফুলে ভ্রমের নিঃশ্বাস গুনি
মহাকাশের শূন্যগর্ভে তার গান শুনি।