ফসলের মাঠে সন্ধ্যা আকাশে নেমেছে কুয়াশা
     বিন্দু বিন্দু ঘাম শস্য দানায়,
              সোনালী ধানের কণায়।
সকাল-সন্ধ্যা হেঁটে চলে মাঠে, আনন্দে ভরে মন;
  ধানে-ধান আশ্বিনের গান, গ্রাম বাংলার প্রাণ।
   কুয়াশা দূরে ঠেলে কাস্তে হাতে চলে মাঠে,
    বাংলার কৃষক বুক বাঁধে ফসলের মাঠে।
চারিদিকে ধান, উঠানেতে ধান;
         হঠাৎ হাজির হয় মহাজন কেশে
                   বলে, ‘কোথায় আমার ধান?’
কৃষক-কৃষাণী থাকে মহাজন তুষ্ঠে
     পাইক-পেয়াদা মিলে নানা অজুহাতে!
     সবধান নিয়ে চলে মহাজনের বাড়িতে।
আর বলে,‘ কোথায় রেখেছিস্ লুকিয়ে?
          গতবার বেশি ছিল এবার কম কেন?’
বাবু! সব নিয়ে গেলেন ? আমার টুকুও!
      চুপ থাক। বেশি কিছু বললে আগামীতে
         না না হুজুর , অমন করবেন না!
     কেঁদে কেঁদে আবার নতুন ঋণের খোঁজে
      ঋনের বোঝায় জর্জরিত তবুও  কাজে
       মাঠে ছোটে সোনালী ধানের আশায়,
            ঘামে ভেজে, দৃষ্টি বেজে কুয়াশায়।
      এতো ধান, এতো গান, গ্রাম বাংলার প্রাণ;
  মহাজনের ঋণে সব চলে যায় বাংলার কৃষকের।
    শোষণের হাতিয়ার সবই চলে গরিবের পরে!
ফসলের মাঠে সন্ধ্যা নেমেছে, সাথে কৃষকের ঘরে।