নদীর বুকে যান্ত্রিক নৌকা ছোটে
       দেনার দায়ে কৃষকের বেদনা পথে ঘাটে।
এরই মাঝে বেঁচে থাকে হেসে
মাটির মমতা প্রেমে আর বাংলাকে ভালোবেসে।
বাংলার পরতে পরতে আছে প্রেম-মমতা
      ধুলিকণায় মেশানো গায়ের ঘামঝরা ব্যথা।
নিরব বিষণ্নতা তবু বাংলার শ্যামল মাঠে
         ক্লান্তি নাশিতে ঘুমায় মাঠের সবুজ তটে।
আমি সবকিছু ভুলে, বাংলার প্রেমে মুগ্ধ
      চুমু খাই বাংলার মাঠে, সেকি সৌরভ গন্ধ!
জেগে উঠি বাংলার সবুজ ছায়ার বনানে
          আম-কাঁঠাল-খেজুরের কাননে  কাননে।
ঘুরে বেড়াই চাঁদ আর নক্ষত্রের সাথে মাঝরাতে,
    শীতল প্রাণ মাঠে মাঠে, খেয়া ঘাটে প্রভাতে।
নিঝুমরাতে পেঁচার একঘেয়েমি ডাক
    তালপাকা গরমে মধ্যরাতে চৌকিদারের হাক।
কার্তিক-অগ্রহায়ণে ফসলের মাঠে সোনালী আভা,
            বকপাখি দলবেঁধে বিকেলে ছড়ায় প্রভা।
বাঁশঝাড় কিংবা বটগাছে পাখির কিচিরমিচির ,
                আপন অনুভূতি খুঁজে পায় প্রকৃতির।
বাংলার মাঠে মাঠে সোনালী আলোর ইশারায়
      দাঁড়িয়াবান্ধা-গোল্লারছুট- হাডুডু খেলে যায়।
বাংলার প্রাণ বাংলার কৃষক গেয়ে যায়
  বাংলার প্রকৃতি বাংলাকে দু’হাতে বিলিয়ে দেয়।
সোনালী আলোয় ভরে প্রকৃতি,
              বাংলার মাঠ আহ্ কি অপরূপ স্মৃতি।
(০৬ ডিসেম্বর ২০১১)