সুজলা সুফলা শস্য শ্যামলা,
মাঠে প্রান্তরে সবুজের মেলা;
ধরণির এই সবুজ মাঠের বুকে,
কত শিল্পী বাংলার রূপ আঁকে।
বাংলাকে কেউ  শিশুস্বর্গ ভাবে,
প্রকৃতির প্রেম তারই বাংলা কাব্যে ।
ভালোবাসে যারা বাংলার রূপকে,
ধন্য মনে করে তারা নিজেকে।
বাংলার রয়েছে কত শত রূপ,
বিধাতা সাজিয়েছে অপরূপ।
ঋতুভেদে বাংলার বৈচিত্র ভিন্ন,
নদী, পাহাড়, মাঠ তার অনন্য।
জোয়ার-ভাটা নদী সাগরের প্রাণ;
পালতোলা নৌকায় মাঝির গান,
লিখে চলেছি রূপ বাংলা কাব্যে;
পাগল হয়েছি বাংলার ভাবে।
দিনে সূর্যের সোনালী বরণ;
রাতে চন্দ্রের রূপালী কিরণ,
চির যৌবনা সবুজের মেলা
সুজলা-সুফলা-শস্য শ্যামলা।
দোয়েল শালিক কাঁঠবিড়ালী ডাকে
বাবুই চড়ুই বক উড়ে ঝাকে ঝাকে।
শিয়াল ভুতুম পেঁচার নিশিতে ডাক
দিনে রাতে যেন ভিন্ন রব।
কোকিলের মিষ্টি মধুর সুর
পাগল করে প্রেমিক বধুর,
কাকের কর্কশ আর পেঁচার ডাক শুনে
ঢীল ছোঁড়ে , গালি দেয় তার পানে।
অপরূপ বিচিত্র ফুলের বাংলাদেশ
অজানা অচেনা ফুল লাগে বেশ।
আদর করে প্রাণের সমতুল
রূপ অলংকার বাংলার দুল,
কেউবা মাটিতে লুটিয়ে পড়ে
কুর্ণিশ করে ভালোবাসে প্রাণভরে।
ফুল পাখি আর ফলের সমারোহে
বন্যা খরা ঝড় বাংলার বুকে বহে,
বহিঃশত্রুর আক্রমণে বঙ্গ ছিন্ন ভিন্ন
স্বাধীন বাংলাদেশ পেয়ে জীবন ধন্য।
বসন্তে পুরাতন বছরের হিসাব শেষে
পাতাঝরিয়ে সাজে নব নবীনের বেশে।
হালখাতা, গ্রামে মেলা চলে নববর্ষে
নানা পর্বন চলে বছর ব্যাপিয়া দেশে,
কৃষক আমার লাঙ্গল কাঁধে মাঠে চলে
বাংলার বুকে চাষ করে, সোনা ফলে।
গ্রীষ্মের তাপদাহ, ছাতি ফাঁটা রোদ্দুর
মরীচিকা খেলা করে যেন সমুদ্দুর।
রসে ভরা ফল পেকে টলমল
গন্ধে আকুল, বাড়ায় বাহুবল।
বর্ষায় গ্রাম বাংলা বন্যা জলে থৈ থৈ
শীতের নোলেন গুড়ের মৌমৌ গন্ধ ঐ।
ষড়ঋতু যেন বাংলার শত চেহারা
সোনালী ফসলে বাংলার মাঠ ভরা।
পল্লী ভাটিয়ালী লালন রবীন্দ্র নজরুল সুরে
বাংলার প্রাণ জুড়ায় , বাজে বাঁশি সুরে সুরে।
বিল ঝিল হাওড় বাওড় নদ নদীর দেশ
রূপ মাধুরের অপরূপ রূপের বাংলাদেশ।
রূপসী বাংলাদেশ
সোনার বাংলাদেশ।