রৌদ্র ছায়ায় পুষ্পমাছি পুষ্পে পুষ্পে  অনন্ত খেলা,
স্বপ্নের উদ্যানে যৌবনের ফুলবনে ইশারায় দেখা।
এলোমেলো বাতাসের শুকনো পাতার ভাঁজে ভাঁজে
নূপুর ছন্দের বসন্তে।


ঝরাপাতর উৎসবে, নব যৌবনের  কলতানে সনাতন ছেড়ে,
পাগলা হাওয়ায় ছোটে রক্তরঞ্জিত ফলন্ত- ফাগুন ভীড়ে।
কোকিলের কুহুতানে বাংলার শ্যামল বর্ণীল মাঠে,
চৈতালী হাওয়ার বসন্তে।


ফুল পরী উড়ে উড়ে রৌদ্রছায়ার বসন্ত বরণ দিনে,
আলোর জোয়ারে উড্ডয়নরত ভ্রমণ ক্লান্তি ক্ষণে ক্ষণে।
কৃষ্ণচূড়া আমের মুকুলে মৃদুমন্দ তন্দ্রা লুকায় রঙীন ফুলবনে,
বসন্ত বরণের শুভদিনে।


মনে আর বনে অকস্মাৎ জাগে বসন্তের দারুণ উচ্ছাস,
ছায়া ঠোঁটে উড়ে যায় রঙিন মাঠে, পুষ্পে বসবাস।
অতীত স্মৃতি লুপ্ত অনন্ত শূন্যতা, আজি বসন্তের জয়গান,
জোয়ার এসেছে, বসন্ত এনেছে প্রাণ।


ঝরাপাতার নিঃসঙ্গতা দূরে ঠেলে কচিপাতার জীবন্ত আহবানে,
বারবার খুঁজে  ফেরে ক্লান্ত তারুণেরে উচ্ছাস ফুলবনে।
নৈঃশব্দের শূন্যতা ফেলে প্রকৃতি গেয়েওঠে নবীনের জয়গান,
ফুল-পাখির এই বসন্তে।


চৈত্রের বালুতলে মরীচিকৈা ছোটে যেন লেগেছে যৌবনের জোয়ার,
পাতার মর্মর,  পাখির গুঞ্জনে বসন্ত খুলেছে দুয়ার
ছাতি ফাঁটা রৌদ্দুরে প্রেমিক ছোটে বসন্ত বরণের দিনে।
ফুটন্ত ফাগুনের জয়গানে।