অগ্রনায়ক বীর সেনানী যুবকেরা চল সম্মুখে,
দুর্নীতি রুখে আপন কর্মের ছবি এঁকে এঁকে।
দিকে দিকে দেখ কত শত কোটি অগ্রবাহিনী,
দেশ সেবায় জীবন দিয়েছে জায়া-মাতা-ভগিনী।


পথের পথিক কর্মে নির্ভিক ঐ সেনাদল,
সোনার বাংলা গঠনে তোরাই জাতির বাহুবল।
দুয়ার জানালা বন্ধ রেখে হবে না অর্থনৈতিক মুক্তি,
মেধা শক্তি মননে জাতি গঠনে তোরাই জাতির শক্তি।


যত জঞ্জাল আছে পথে - যত সব আছে বাঁধা!
দূর করো সব অগ্রনায়ক বীর যুবকেরা।
জলে কুমির, ডাঙ্গায় বাঘ, আকাশে শকুন;
নির্ভিক বীর সেনানী এরই মাঝে জেগে ওঠ দ্বিগুন।


সম্মুখে দেখবে শত শত বাঁধা ! অলুক্ষণে কথা,
“তোমাকেই যেতে হবে বাবা?” এ কেমন কথা!
আমরা কাঁদি বেদনায় আর নাচি উল্লাসে,
সোনার বাংলা আজ চাঁদাবাজি-দুর্নীতিতে ভাসে।


রক্ত পিপাসীদের ধর অভয় চিত্তে বীর সেনানী,
ভালোবাসায় গড়ো দেশ, তোমরা পারবে তা জানি।
নব আশায় নাচিছে দেশ-জাতি নতুন পতাকা ধরি,
মাঠে-কারখানায় নব নব সৃষ্টিতে কাজ করে নর নারী।


চীন জাপান রাশিয়া মার্কিন বিশ্বের বুকে তাঁরা,
দেশপ্রেম আর কর্মকে ভালোবেসে কত উন্নত তাঁরা।
তোমরা তো বীরের জাতি , মুক্তবুদ্ধির নির্ভিক সেনাদল;
শিক্ষা দীক্ষায় মানবিক মূল্যবোধে নীতিতে থাকো অটল।


সুশীল সমাজ,বুদ্ধিজীবি,আইনজীবি,
              পুলিশ, আমলারা -দুর্নীতির পিছু ঘোরে!
শঙ্কা কিসের অগ্রনায়ক!ভীরুমন ছেড়ে,
                       দুঃস্বপ্ন ভুলে, জেগে ওঠ ভোরে।
ধনি গরিবের আয় ব্যবধনে বৈষম্য বাড়ে, মানবতা পালায়;
“অথৈনৈতিক মুক্তি ” শুধুই কাগজে কলমে আর বক্তৃতায়।


লাঞ্জিত মোরা গুটিকতক সন্ত্রাসী আর দুর্নীতিবাজের কাছে,
নিম্ন আয়ের মধ্যবিত্তরা সংসার চালাতে কাঁদে পর্দার পিছে।
জ্ঞানে বিজ্ঞানের বীরসেনানী তরুণ মুক্তিসেনা হও আগুয়ান,
                      বাঁচাও দেশ-জাতির সম্মান।



( ১৮ ডিসেম্বর ’০৯)