ঝিমঝিম চেতনার অলিগলি
দীর্ঘশ্বাসে অশ্লীল স্মৃতিরেণু ভুলি,
বাতাসময় বিষণ্নতা ভ্রমণ।
        প্রকৃতি নবরূপে রূপবতী
সবুজপাতা কোকিলের ডাক,
তবু নতুনের অপেক্ষায় নেই ভীতি।
আজ থেকে যুগ-কাল অবধি!
সংসারে আবর্তিত ঋতুচক্র
     অন্তরঙ্গে ঝুকে পড়া সারস পাখি
থেমে যাওয়া পথিকের পথ
             মেঠোপথের এক কোণে
কুড়িয়ে পাওয়া একটি ফুল।
মেঠো ফুল তাই নাম অজানা
হাতছানি দেয়া তেপান্তর ধুঁ ধুঁর  চেতনা।
হৃদয়ের চাহিদা মাফিক ঋণ
           শিহরণ! নিদ্রাকাতর দেহসুর
পাইনি কোথাও নতুনত্ব!
শেকলে বাঁধা সংসার
দিন যায় সম্পর্ক হয় পর
                   ঝড়ের পূর্বাভাস!
তবুও আছি অথই শূন্যতার মাঝ,
অস্তিত্বের রন্ধ্রে রন্ধ্রে
         অনিবার্য চিরন্তন পিপাসা
নিঃশ্বাস আজও শব্দময়
দীঘল রাত্রিযাপন!
ঝড় হয় স্বপ্নীল আকাঙ্খা
গরমিল শুধু হিসেবে,
ভাঙচুর নীরব কান্নায়
              কল্পনার অনামিকায়
নতুবা স্বপ্নের অপরিচিতা
চৈত্রের উৎসবে মাতি কত যে সখ্যতা
তবুও পাইনি নতুনত্ব।
সর্বদাই নতুনত্বের মাঝে পুরাতনের আবির্ভাব।
প্রেম নেই চলে গেছে
ঐ যে অঞ্জলির ক্যাম্পাসে।
লাল-নীল ডানার বিচিত্র আলোয়
               প্রবেশ অন্দর মহলে।
তীব্র ক্ষরায় ভালোবাসা শুষে নেয়,
দীর্ঘ প্রতীক্ষায় শূন্য ফাঁকা ফাঁকা
কাঁপা কাঁপা স্ক্রিনের (পর্দা) বেদনায়
তেপায়া টেবিলে ছেঁড়া ছেঁড়া তাস
                  তাই নিয়ে টানাটানি।
বুকের মধ্যে নীরব উচ্ছ¡াস, বেদনার টান
পিঠে পড়ে তীব্র বেদনার চাবুক।
               রক্তগন্ধ মাখা চুল
অশ্র“ভারে চোখ হয় ঝাঁপসা!
স্বপ্ন-কল্পনায় একাকার
শুধুই বিবর্ন ধূসর আস্তরণ
বাস্তব তার এক ধাপ পিছিয়ে।