দাসত্ব কেড়েছে আত্মসম্মান; হারিয়েছি মণিহার,
যশ লোভি ওরা।  ভণ্ড সাধু। তবু যশের হাহাকার।
দাসত্বের মালা পরেছি গলে সেই পলাশির প্রান্তরে,
কে ঘুচাবে দাসত্ব! কে যোগাবে আশা জাতির অন্তরে!
হাল ধরো এসে এ জাতির! ছেড়ে দাও অভিমান,
ক্রন্দন ভুলে, হও আগুয়ান, হে নবীন নওজোয়ান।


দাসত্ব কেড়েছে মুখের ভাষা; করেছে ভীরু জাতি,
মধ্যদুপুরে কিংবা নিশীথে নিভে গেছে সব বাতি।
জ্বলেনা দীপশিখা। ঘন কুয়াশায় সূর্য মেঘে ঢাকা,
দাসত্ব ছেড়ে পূর্ণতা আসবে কেমনে; আজ সব ফাঁকা
ঐ দেখ, বুদ্ধিজীবি স্বীয়স্বার্থ খোঁজে, দাসত্বের বেড়াজালে
পাল্টা আঘাতে দাসত্ব ঘুচাবে আজ কোথায় সে ছেলে ?


উন্নতশির, স্কন্ধে বিজয়ের পতাকা; তাঁদের কর সম্মান,
দিশেহারা জাতির দাসত্ব ঘুচাতে সবাই হও আগুয়ান।
মৃত্যুর ভয়ে কেন তবে দাসত্বের বেড়ি বেধে র’বে পায় ?
মেকির বাজারে সত্য ছড়াও, আগে মানবের মন করো জয়।
দাসত্ব ঘুচায়ে বিজয়ের পতাকা এনেছিল রেসকোর্স ময়দানে,
পঁচাত্তরের পনের আগষ্ট আবার মরল স্বাধীন পতাকা অপমানে।


দাসত্ব ঘুচিয়ে দাসত্বের কবলে বন্দি দুর্নীতিসম দাসত্বে,
জেগে ওঠ নবীন-প্রবীণ, জাগো বাংলা, আপন স্বার্থে।
দাসত্ব ঘুচিয়ে সবাই মিলে দেশমাতার সেবায় ব্রত হও,
হও আগুয়ান, হে নবীন! জ্ঞানদীপ জেলে দুর্নীতি ঘুচাও।