ভাবনাকে প্রযুক্তির সাথে টেকসই ব্যবহার করলে
           অর্থবহ হয় সার্বিক উন্নয়ণ প্রয়াস,
নতুবা মুখ থুবড়ে পড়ে, উন্নয়ণে নামে ধস্ ।
তবে আর্থিক মুনাফা লাভের প্রযুক্তি
                   সত্ত্যিই কি টেকসই প্রযুক্তি!
দুর্নীতি আজ সুনীতিকে সমাজ থেকে ঝেঁটিয়ে
                   যাদুঘরে পাঠাচ্ছে লাঠিয়ে।
উন্নয়ণ ভাব ভাবনার নামে অনুভবের হাটে
    নিত্য নব কৌশলে ফন্দিফিকির আঁটে।
সবুজ বিপ্লবের মতো, কৃষি বিপ্লবের নামে
পরিবেশ পঙ্কিলতায় পরিণত করছে সর্বনামে।
    পরিবেশ ও জীববৈেিত্র্যর ওপর প্রভাব,
অশালীন সামাজিক সৌহার্দ্যে তার স্বভাব।
(বিজ্ঞান) উন্নয়ণ প্রযুক্তির নামে মেশাচ্ছি ফরমালিন,
গরুকে দিচ্ছি হরমোন আর আয়োডিন।
          মাছকে দিচ্ছি উদ্ভুত নানাফিড,
ক্ষতিকর রাসায়নিক ভাঙ্গছে জনগণের বর্ম,
জটিল ও দূরারোগ্য ব্যাধি বাড়ছে ক্রমাগত
টেকসই প্রযুক্তিতে এখনই মূল্যবোধ করো জাগ্রত।
           জনমনে ভালো মন্দের বিকাশ ঘটাও,
টেকসই প্রযুক্তির সাথে অপকার গুলো হটাও।
শিক্ষা আর প্রযুক্তি যদি অসৃজনশীলে অপচয় হয়,
আপন স্বার্থ লোভে তখন জাতীয় স্বার্থ ভয়বহ হয়।
তখন সকল প্রযুক্তি দুর্নীতির কাছে হোচট খায়,
জাতি-রাষ্ট্র-সমাজ ব্যর্থতায় পর্যবসিত হয়।
               (২৮ মার্চ ২০১৮)