কপোতিবধুর নধর অধরে আলোর মোহনা,
শুক্লতিথীর একাদশী চাঁদে মেলেছে ডানা।
        রাতের উল্লাসে নির্জনে
       খুনচড়ে বুকের আগুনে;
বুকের জমিনে আধো আলোতে মধুতে ঢালে সুরা,
মনোরমার মন রাঙাতে তেপান্তরে বক্ষঘেরা।
         বর্বর চুম্বনে উঠে দুলে
             উসখুস চুলে;
যৌবনের মৌবনে মাতে উল্লাসে কদমতলে,
সুখ পাখির বিদ্রুপ ভোলে মন পাখা মেলে।


  বহ্নিফেনা জ্বলে রাতের অভিসারে,
নিঝুম জ্যোৎস্নায় তিমিরে আলো ঝরে।
       অলস নয়নে বেদিমূলে
    স্বপ্ন পিয়াসী আলুথালু চুলে;
জ্যোৎস্নার আলিঙ্গনে চুপিচুপি পান করে কুমারী বধু,
  উল্লাসে আরক্তিম আঁখি মেলে চেয়ে থাকে শুধু।
         কামিনীর ব্যথায় সুরা চুমে
           কুহেলীর আলেয়ার ঘুমে;
একাদশী চাঁদ জড়ায় মায়াবীর জাদুজালে,
একাদশী চাঁদ ডুবছে দিগন্ত চিরে পশ্চিমাচলে।
         বাতায়ন খুলে দূর দিগন্তে
        কামনায় অলি আসে একান্তে।
শূন্য পেয়ালায় একাদশী চাঁদ নিভে নিভে হাসে,
দিওয়ানা প্রেমের নেশায় মশগুল তারই পাশে।
         (০১ আগস্ট ২০১২)