নানা উৎসব, নানা আয়েজন আমাদের এ ভূখণ্ডে ;
মিলন মেলার হাসি আনন্দের এ উৎসব চলে এক সঙ্গে।
পহেলা বৈশাখ সে তো বাঙালির প্রাণের উৎসব,
চৈত্রসংক্রান্তি শেষে নববর্ষ বরণে বাংলা জুড়ে কলরব।


বাংলার রূপে মুগ্ধ নয়নে প্রভাতফেরিতে চলি,
নববর্ষ বয়স মানে না।নর-নারী ছড়ায় রঙের ঢালি।
নববর্ষের মেলা চৈত্রসংক্রান্তিতে শুরু বৈশাখী উৎসবে শেষ,
ধর্মসভা বিচিত্র মেলার নানা আয়েজনের অপূর্ব এ দেশ।


সারাদিন চলে মেলা আর খেলা, সন্ধ্যায় সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান;
জারি-সারি-ভাটিয়ালি-রাখালি যেন আবহমান বাংলার প্রাণ।
  খরার বুকে তপ্ত গরমে প্রকৃতিতে আসে বর্ষাবরণ,
কদম-কেয়া গাছে ভেজা পাখির গোঙ্গানি বিরহের আগমণ।


শরৎ হাসে সাদা মেঘে আর কাশফুল উড়ে দুলে দুলে,
নবান্নের উৎসবে হেমন্ত আসে কৃষাণীর হৃদয় খুলে।
মধুমেলা, পীঠা পায়েস আর কুয়শায় মেতে ওঠে শীত,
বাঙালি তার উৎসব আয়েজনে ধরে রেখেছে অতীত।


তারপর আসে মহা আয়েজনে নব যৌবনে বসন্ত উৎসব,
পুরাতন জীর্ণতাকে ছুঁড়ে ফেলে। চারিদিকে নবীনের রব।
গাছে গাছে কচিপাতা, ফুল-ফল আর পাখিদের কলরব;
মিলনমেলার অপরূপ দেশ, বছরব্যাপী চলে নানা উৎসব।


( ৩১ জুলাউ ২০১০)