পনেরোই আগস্ট বললে ভেসে ওঠে
বত্রিশ নম্বরে রক্তেভেজা বঙ্গবন্ধুর মরদেহ,
বাংলাদেশকে মেরেছিল তারা,
                       বাঙালির জাতিসত্তাসহ।
বঙ্গুবন্ধু আর নেই । একথা বিশ্বাস করাতে
বারবার প্রচার করেছিল বুলেটবিদ্ধ দেহ।
এ মর্মান্তিক দৃশ্য দেখেছিল জাতি
বাংলাদেশ টেলিভীষণে, অশ্রুসিক্ত নয়নে।
এ মর্মান্তিক দৃশ্য দেখেছিল বাঙালি তথা
পুরো বিশ্ব ভিডিও ছবিতে।


পনেরোই আগস্ট বললেই সম্মুখে ভেসে ওঠে
বত্রিশ নম্বর বাড়ির সিঁড়িতে পড়ে থাকা
বঙ্গবন্ধুর রক্তাক্ত নিস্তেজ দেহ।
আমরা সবাই ভূপাতিত হলাম
পরাজিত শত্রুর তীব্র হুঙ্কারে পালিয়ে বেড়ালাম,
স্বাধীন বাংলার ইতিহাসে এক কালিমালিপ্ত অধ্যয়।


পনেরোই আগস্ট বললেই ভেসে ওঠে
মুখবন্ধ করে দেয়া পরাজিতের শৃঙ্খল,
শ্রাবণের ঝরণা ধারার সাথে বাংলার অশ্রুধারা
বাংলার আকাশ বাতাস নিসর্গ প্রকৃতি অশ্রুসিক্ত।
পুরো বিশ্ব নির্বাক নিস্তেজ হয়ে চেয়েছিল।
পনেরোই আগস্ট মানে বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নকে মুছে দেয়া,
বীর জাতির বীরত্বগাথার ইতিহাসে কালিমা লেপন করা।


পনেরোই আগস্ট বললেই ভেসে ওঠে
দেশী-বিদেশী ষড়যন্ত্রে পরাজয়ের ক্ষোভ,
পলাশিতে সংঘটিত বিয়োগন্তক নাটকের পুনারাবৃত্তি।
মীরজাফর তথা খন্দকর মোশতাকের ক্ষমতায় বসা।


পনেরোই আগস্ট মানে কিম্বদন্তিকে হত্যা করে
ইতিহাসের ধারাকে পাল্টে দেয়া।
তারা জানে না, হত্যা-খুন করে থামানো যায়না;
তবুও তারা থামিয়ে দিয়েছিল
               স্বাধীন ইতিহাসের পথচলা।


পনেরোই আগস্ট আসলেই ভেসে ওঠে
               রক্তাক্ত লাশ ডিঙ্গিয়ে
খুনি, পরাজিত শত্রু আর দেশীর দালালদের
                      ক্ষমতায় বসা।
রাজাকার আর দালালদের পুর্নবাসন করা।
পনেরোই আগস্ট থেকেই শুরু হয়
মুক্তিযুদ্ধের বিকৃতি ইতিহাস উপস্থাপন।
গভীর ষড়যন্ত্র আর নবীন প্রজন্মের মগজ ধোলাই।
আমাদের জাতিসত্তায় রোপন করেছিল
সাম্প্রদায়িক বিভাজন আর বিদ্বেষ।
(১৫ আগস্ট ২০১৭, মঙ্গলবার, ৩১ শ্রাবণ ১৪২৪)