রূপের ছোঁয়ায় লাবণ্যের ঝলকে মেয়ে
কাজল চোখে বিভোর হয়ে আছে চেয়ে।
ভোরের আলোয় শিশির ঝলকে
কেড়ে নেয় স্মৃতি দৃষ্টির পলকে।
দীঘলকেশ শূন্যে মেঘবালিকায় ভাসে
আঁধার তাড়িয়ে ভোরের আলোয় হাসে।
নিস্তব্ধতার রাত্রি অনুভূতি কেড়ে নেয় বয়ে
চৈত্রের খরতাপে মরীচিকা আসে ধেয়ে।
রূপ-লাবণ্যে অদৃশ্য ছোঁয়ায় বাঁধন ঐ প্রনয়ে,
পটল চেরা চোখের চাহনির মোহে।
উদ্ভাসিত হাসির ঝংকারে কম্পিত শিহরণ
জগৎ সংসারে তোলে আলোড়ন।
গোধুলি সন্ধ্যায় রূপের আলোর লাবণ্য
সিক্ত হৃদয়ে রিক্ত ছোঁয়ায় প্রকৃতি ধন্য।
রূপমাধুরির পরি সে যেন নৈসর্গের মেয়ে,
স্বর্গীয় রূপে অপ্সরীর সৌরভ আসে ধেয়ে।
নিশির লাবণ্যে সরু দেহখানি দোলে
গ্রাম ছাড়িয়ে দূর প্রবাসে চলে রূপের কোলে।
শীতল ছায়ায় হৃদয় অনুভবে স্বপ্নে বিভোর
কালো কেশের অপরূপ চাহনিতে কাটে ঘোর।
আলো-ছায়া খেরা করে ধোয়াশার বুকে,
ঘুমঘোর নেশা, পায় কি দিশা ঐ বুকে।
(০৩ জুন ২০২০)