আমি তোমাদেরই ছেলে
       তোমাদের সাথে চলেছে শিশুকাল হেসে খেলে।
       অজো পাড়া গাঁয়ের কোন এক গ্রামে বেড়ে ওঠা,
       আম-কাঁঠাল-খেজুর বাগানের চিরচেনা পথটা।


তোমাদের আদরের ছোট্ট সেই ছেলেটি আমি!
       মাহবুব মুকুলই আছি।  হইনি দামি।
       খেজুর বাগানের মিষ্টি রোদের স্বাদে,
        নারিকেল পাটালির মৌ মৌ গন্ধ স্বাদে।
        শীত বিকেলের খেলার হৈচৈ মাঠে,
        আনন্দে কোলাহলে কাটাতাম তোমাদের সাথে।


আমি তোমাদেরই ছেলে
       দূরে আছি স্কুল-কলেজ পেরিয়ে জীবিকার ছলে।
        তবু হাসিমুখে স্বাধীন বাংলার গান গাই,
         থমকে দাঁড়াই! তোমাদের গোপন ভালোবাসায়।
         বীর শহিদদের সালাম ভালোবাসা জানাই,
         আমার সময় কাটে বাংলা বাঙালির ভবানায়।


আমি তোমাদেরই ছেলে
       বাংলাকে গড়ি আত্মঅভিমান ভুলে।
       সেই কৈশোর-শৈশবের গ্রাম-বাংলার মাঠ পেরিয়ে,
        জীবিকার তাগিদে আছি কর্মক্ষেত্রে দাঁড়িয়ে।
        বাংলাদেশকে ভালোবাসি, বাংলাভাষা আমার প্রাণ;
        আমি খুঁজে ফিরি আম-কাঁঠাল-খেজুরের ঘ্রাণ।
        এই যান্ত্রিক শহরে, পীচঢালা রাজপথে;
         ভণ্ডামি, দুর্নীতি, শঠতা চলে একসাথে।


আমি তোমাদেরই ছেলে
       তোমাদের সততা নিয়ে আছি। আজও আছে দিলে।
       আমি ঘুরি সারা বাংলার পথে পথে,
        কর্ম জনসেবা দিয়ে নতুন বাংলা গড়ার শপথে।
        তরুণ-তরুণী এসো, সবাই দেশের তরে কাজে যাই;
         দুর্নীতি ভুলে মানুষের মতো মানুষ হয়ে যাই।


আমি তোমাদেরই ছেলে
      কতোদিন পরে দেখা, তাই ভবাছো আমি কে!
      সেই ছোট্ট ছেলেটি আমি যে,
      আমি তোমাদের মাহবুব মুকুল যে।
      কর্ম ব্যস্ততা ছেড়ে বাংলার পথে পথে ঘুরি,
      আর যত সব অনিয়ম দূর করি।
      শান্তির কথাবলি, বাংলাদেশকে ভালোবাসি;
      নাড়ীর টানে বারবার গ্রামে ফিরে আসি।
      আমি তোমাদের ভালোবাসি একটু বেশি,
      তোমাদের সহস্র সালাম, ফুলের শুভেচ্ছা রাশি রাশি।


আমি তোমাদেরই ছেলে
      তোমাদের মমতা ভালোবাসা পরিয়েছি গলে।
      আমি তোমাদেরই ছেলে, সাথে আছি সর্বদাই;
      তোমাদের সাথে নিয়ে করব জয়, দূর হবে ভয়।
     এক মিছিলে চলো সবাই ঘুস-দুর্নীতি হটাই,
     তবেই আমাদের অর্থনীতি মুক্তি আসবে নিশ্চয়।
     স্বদেশের প্রেমে মত্ত হই, আপন ভবানা ভুলে;
     নতুন বাংলাদেশ গড়ব, আমি তোমাদেরই ছেলে।
                (২৫ ডিসেম্বর ২০১১)