বিপুলা এ পৃথিবীতে কল্পনা বিলাসে
                       হাঁটছি আমি খালি পায়ে,
জ্যোৎস্না বৃষ্টি রোদের মাঝে
                   ঋতুতে ঋতুতে উদ্বেল হয়ে।


অমাবশ্যার নির্জন অন্ধকারে
                   পূর্ণিমার পথে পথে একাকী,
দোয়েল, শালিক, ফিঙ্গে
              ঝিঁঝিপোকা, জোনাকী যে সাথী।


প্রখর রোদে খালি পায়ে
                       তপ্ত ধুলোর মাঠে মাঠে,
কিংবা চোরকাঁটা বিছানো
                       চৈত্র খরায় ছাতি ফাটে।


আবার সবাই যখন গভীর ঘুমে
               বেরিয়েছি ভূতুম পেঁচার সাথে,
রাত জাগা কুকুরগুলোর
                   কাঁন্নাশুনে দাঁড়িয়েছি পথে।


বৈশাখী দুপুরে আম বাগানে
                         দুষ্ট ছেলেদের সাথে,
আনন্দে ছুঁটেছি কালবৈশাখী ঝড়ে,
                           শিলাবৃষ্টিতে মেতে।


ঘুরেছি চৈত্র কিংবা মাঘী পূর্ণিমার
                  উথাল-পাতাল প্রেম বিরহে,
শ্রাবণের নিঝুম বৃষ্টিভেজা ভোরে
                    কদম বকুলের ঘ্রাণ ঝরে।


আমি দেখেছি নদীর কূলে কাশবনে
                     শুভ্র সতেজ শরত প্রভায়,
নবান্নের সোনালী ধানক্ষেতে
              আমি দেখেছি শিশির কুয়াশায়।


চৈত্রের নবান্নের উৎসবে
           রমনার বটমূল হয়ে গ্রাম বাংলায়।
               (২৭ জুলাই ২০১২)