বাংলার আকাশ বাতাস কাঁদে,
              বাংলা ভাষার বর্ণমালা কাঁদে!
১৫ আগস্ট শ্রাবণ ধারায় কাঁদে
                 মহামানবের শোকে কাঁদে!
গ্রাম-গঞ্জের মানুষ আজও কাঁদে,
       বাংলাদেশের আকাশ বাতাস কাঁদে!
মহাননেতার শোকে স্মরণে কাঁদে।
       পদ্মা মেঘনা যমুনার  স্রোত কাঁদে,
তোমার আমার ঠিকানা কাঁদে;
জয় বাংলার স্লোগান কাঁদে।
মুক্তির সংগ্রামি জনপদ কাঁদে,
     বাঙালির ভাষা সংস্কৃতি কাঁদে;
শাশ্বত বাংলার ইতিহাস কাঁদে।
       তোমার আমার নীতি আদর্শ কাঁদে,
দেশপ্রেমি আদর্শবাদী প্রগতিশীল কাঁদে;
মুক্তচিন্তার মুক্তবুদ্ধির সুশীল সমাজ কাঁদে।
শহীদের রক্তে স্নাত বাংলার মাটি কাঁদে,
   বিশ্বরাজনীতির মহেন্দ্রক্ষণ ০৭মার্চ কাঁদে;
১৬ ডিসেম্বর বিজয় দিবস কাঁদে।
  লজ্জায় ঘৃণায় বিবেক কাঁদে,
সোনার বাংলা, রূপসী বাংলা, বাংলাদেশ কাঁদে!
    টুঙ্গি পাড়ায় মহাননেতাকে দেখতে এসে কাঁদে।
নিভৃতে নিরবে আত্মা কাঁদে;
      স্বাধীন পতাকা কষ্টে উড়ে আর কাঁদে।
শোষণ সন্ত্রাস দুর্নীতির ভয়ে কাঁদে,
       ক্ষুধা দারিদ্র অনাহারে কাঁদে;
কালজয়ী মহামানবের শোকে কাঁদে!
         ৩২ নম্বর বুলেটবিদ্ধ বাড়িটি কাঁদে;
১৫ আগস্ট শ্রাবণ ধারায় কাঁদে,
      বাংলার রাজপথ জনতার সাথে কাঁদে;
হাজার বছরের শ্রেষ্ঠ বাঙালির শোকে কাঁদে।
বাঙালির হৃদয় জয় বাংলার অনুভবে কাঁদে,
সংবিধান আর বাঙালি জাতীয়তাবাদ কাঁদে।
স্বাধীনতা, গণতন্ত্র আর প্রগতিশীল শক্তি কাঁদে,
অপমান অবহেলা দমনে নির্যাতনে তাঁর শোকে কাঁদে;
     বাংলার আকাশ বাতাস জল গুমরে গুমরে কাঁদে।
১৫ আগস্ট জাতি শোকে মূহ্যমান শুধুই কাঁদে,
  শহীদ মিনার, স্মৃতিসৌধ, রক্তঋণ তাঁর স্মরণে কাঁদে;
বিপ্লবের কবিতা, মুক্তির কবিতা কাঁদে।
স্বাধীন শান্তিকামি হৃদয়-বিবেক কাঁদে,
বাংলার পতাকা উড়ে উড়ে থামে আর কাঁদে;
মহাননেতার শোকে সংগ্রামী জনতা কাঁদে।
“এবারের সংগ্রাম মুক্তির সংগ্রাম” কাঁদে,
  “এবারের সংগ্রাম স্বাধীনতার সংগ্রাম ” কাঁদে;
৩২ নম্বর বাড়িটি দেশী বিদেশী জনতা দেখে আর কাঁদে।
  বাঙালি তাঁর ভগ্ন হৃদয়ে বারে বারে কাঁদে,
মহাজনতা মিছিলে ভাষণে কাঁদে;
   কবির কবিতা, সাহিত্যিকের কলম কাঁদে।
কৃষক শ্রমিক জেলে তাঁতি মজুর কাঁদে,
       বিশ্বমানবতার বিবেক কাঁদে।
      (১৬ আগস্ট ২০১১)