বৃষ্টিতে ভিজে ভিজে মেঘবালিকা ভাবে,
ছুটে চলা আষাঢ়ী উত্তরি মেঘের অনুভবে।
কদম, কেয়া, জারুল, বকুলের গন্ধ ভাবায়,
সবুজ পাতার আগমণে জীবনের সজীবতায়।


রঙের সমীরণে মনভরে ওঠে টিপটিপে বৃষ্টিতে,
মেঘবালিকার অন্তর ছুঁয়ে যায় অপরূপ কৃষ্টিতে।
মেঘমালার লুকোচুরি গ্রামীন জীবনের গল্পমালা,
স্বপ্নলোকে হারানো নদীতে ছলাৎ ছলাৎ খেলা।


মেঘবৃষ্টির আছড়ে পড়া ভালোবাসার আনাগোনা,
মেঘবালিকার কাছে দিনে দিনে বাড়ে দেনা।
বর্ষা নিশীথে হাসনাহেনার গন্ধে ব্যথিত অশ্রুপাত,
আবেগী মন, আঁধারে গমন, লুকোচুরি সারারাত।


অবলীলায় ঝরে মেঘবালিকা অবিরাম ব্যথায়!
বৃষ্টির অনুভবে উত্তরি মেঘ বারে বারে কাঁদায়।
বৃষ্টিভেজা এলোকেশ নীলাকাশে ছুঁয়ে দেয় চুম্বন,
আষাঢ়-শ্রাবণে মেঘবালিকার মেঘে মেঘে বন্ধন।


মাতাল প্রেমে মেঘবালিকা ছুটে চলে অজানায়!
মাতাল হাওয়ায় কালোকেশে আকাশ ঢেকে দেয়।
রূপের দেশে অপরূপ সাজে রূপের প্রতিচ্ছবি,
হিমালয়ের হিমবাহ আঁকে মেঘবালিকার ছবি।


মেঘাচ্ছন্ন অনিন্দ্য সুন্দর মায়াবী সাজে মেঘবালিকা,
অনুভবে ভাবে, অপরূপ তবু পায় না প্রেমিক দেখা।
মেঘবালিকা ছুটে চলে অজানায়, না থামার বাহেনা,
ফুলের গন্ধে অশ্রু ঝরিয়ে রেখে যায় বিরহ বেদনা।
( ০২ জুলাই ২০১১)