মৃত্যুর  উন্মাদনায় সাইমুমে উড়ে যাই;
              কাজলজ্বলা ঠোঁট ফাঁটা তেষ্টায়।
জলন্ত নাগিনী কিংবা দূরন্ত ডাকিনীর মতো,
             মধ্যদিনের শিহরণে।
মুখোমুখি দাঁড়াবার লজ্জায়,
              অর্থহীন আর্তনাদে বেঁচে থাকি!
বাঁকা চোখে বিদ্রুপের তীক্ষ্ণ বান,
রক্তের উত্তাপে জীবন সংসারের ছবি আঁকি।
চোখে ঝরে ক্ষুধার্ত কান্নার জল,
            ভালোবাসার জন্ম, পরিচয়
                             মৃত্যুর উন্মাদনায়।
বজ্র বিদ্যুৎ সমেত কাঁপে তাপহারী বারিধারা
        শ্বাসকষ্ট অকপট নতুন চেতনায় জ্বরা!
অক্ষরবিহীন নতুন ভোরের প্রত্যাশায়।
        বৃষ্টি-বিদ্যুতে ভাসে পরম সোহাগে
                     কাঁদায় মৃত্যুর উন্মাদনায়!
ভেসে ওঠে সন্ধ্যাতারায় প্রিয় প্রতিচ্ছবি
                       মনো পর্দার মহাকাশে।
হৃদযন্ত্রে বেড়ে ওঠা মৃত্যুর উৎসব
                      নিরুপায় অশ্রুর প্লাবন।
সৃষ্টির আদিতে ধ্বংসের তিলক
          রক্তাক্ত পূর্ণিমার বিবস্ত্র নীলাকাশ,
ঢেউ ভাঙ্গা বালিয়ালির ফাঁদে
      শেষ রক্তের স্মৃতিতে তারই উপহাস।
মৃত্যুর দীর্ঘ আর্তনাদ আর উন্মাদনা!