জেগেছে আজ ধরণীর বুকে মহাজনতা,
আমাদের অধিকার দিতে হবে। গড়তে হবে সমতা।
কমাতে হবে ধনী গরিবের বৈষম্যের ব্যবধান,
নিপীড়িত প্রাণ! জেগে ওঠ! জাগো মহাপ্রাণ।
            শ্রমজীবি মানুষের অসহায় সন্তান!
মুছে ফেল আঁখি জল। অধিকার আদয়ে হও আগুয়ান।
বিশ্ববিধাতা তিনি বড় দয়াময়, অসীম মহীয়ান;
সম অধিকারে জেগে ওঠো। গাও সবে সাম্যের গান।
কালো ধলো, জাত বেজাত সবই তো তারই সৃষ্টি,
জাতের বিচারে ছোট বড় করা মানুষের কৃষ্টি।
আমরা গরিব কাজ করে খাই, নেই কোন অপরাধ,
আজকে ঘুচাব জাতের বিচার, আমরা ক’রব আঘাত।
রবি শশি তারা এগুলো কারো একার সম্পদ নয়,
নিজ অধিকার আদায়ে কেন এত কাঁন্না। কেন এত ভয়!
ঐ দেখ মহাজনতার রক্তে লালে লাল ধরণীর ধরাতল,
স্বাধিকার আদয়ে দেশের স্বার্থে, পৃথিবী ছায়াশীতল।
                         ঐ দেখ জেগেছে মহাজনতা!
তোমাদের অপকর্ম বললে, জনতা হযত লাগবে তিতা।
রাজপথে দেখ, যতই ছোড়ো বন্ধুক গুলি ,কামান
জনতার দাবি, সাম্যের দাবি, কমাতে হবে ব্যবধান।
শাসন শোষণ ছেড়ে ছুঁড়ে জনতার কাতারে এসো।
পশুপ্রবৃত্তি দূরে ছুঁড়ে ফেলে মনুষত্ব নিয়ে বসো;
মহামানবের মিলন মেলায় মানুষেব মিলন হাঁসি,
নবীন প্রভাতে মহাজনতার মিছিলে বাজবে বাঁশি।
              তবেই পৃথিবী হবে শান্তির স্থান,
তোমরাও পাবে মহামানবের মতো অসীম সম্মান।
বন্দি বুঝেছে হবে না সন্ধি, থাকতে হবে জেলে;
স্বীয় স্বার্থে গণপিটুনি খেয়ে নেতা হতে গেলে।
এ কেমন নেতা! মানুষের কথা বলো, উচ্চ করো শীর।
জনতাই বলবে ‘নেতা’। ভাঙ্গবে আইন কারা প্রাচীর।
ক্ষুদিত মানুষের তুষ্ণা মিটাও, চেয়ো না ফুলের অঞ্জলি,
তবেই বেঁচে র’বে করবে সম্মান, হবে মহাজনতার কলি।
                               ( ১৯ নভেম্বর ২০০৮ )