জলাশয়ের পাশ দিয়ে কাচা-পাকা রাস্তা।
কোথাও কোথাও রাস্তার পীচ উঠে গেছে,
গর্ত- ইট- পাথর এই নিয়ে পথ চলছে।
রাস্তার পাশে জলাশয়ের ওপর পাকা বাড়ি,
শুনেছি জলাশয় এক সময় বিল ছিল;
এখন ভূমিখোর, উঠতি টাকাওয়ালারা
বিল ভরাট করে ফেলেছে। এখন আর
বিলের মতো নেই, দীঘি কিংবা জলাশয়।
এই জলাশয়ের উপরের বাসাতে থাকি।
বাসার পশ্চিমে রাস্তা, পূর্বে জলাশয়।
আর পূর্বকোণে বিশাল এক জানালা,
শুয়ে-বসে জানালা দিয়ে প্রাকৃতিক
সৌন্ধর্য অবলীলায় উপভোগ করা যায়।
আজ শ্রাবণী পূর্ণিমা। অপূর্ব মায়াবী রূপ,
চাঁদ তার আপন ভঙ্গিতে জোছনা বিলাচ্ছে
বিকেলে বৃষ্টি হয়েছে, আকাশ পরিস্কার।
আকাশে দুই এক খণ্ড মেঘ ঘুরে বেড়াচ্ছে,
চাঁদের ওপর যাচ্ছে না। জোছনা সর্বময়।
মেঘ-চাঁদ-জালাশয় অপূর্ব দৃশ্য জোছনার,
এদিকে আবার ঝিরঝির বাতাস বইছে;
মৃদ্রুমন্দ বাতাসের বেগ বাড়ছে-কমছে।
জলাশয়ের কচুরিপানার নীল ফুল দুলছে,
জলাশয়ে ছোট ছোট ঢেউ খেলছে। তার
উপর শ্রাবণী জোছনার রূপ ঠিকরে পড়ছে।
আহ! কি মায়াময় অপরূপ দৃশ্য প্রকৃতির,
দেখছি, ভাবছি কতো রূপ বাংলার প্রকৃতির।
জলাশয়ের চারি পাশে মাথা উঁচু করে
অট্টালিকা দাঁড়িয়ে আছে আধুনিকতা নিয়ে।
দেখতে দেখতে একখণ্ড মেঘ ঢেকে দিলো
চাঁদ, সেই সাথে বৃষ্টি। অপরূপ দৃষ্টির কৃষ্টি।
জোছনা মেঘ বৃষ্টি জলাশয়ের খেলা।
              (০২আগস্ট ২০১২